কুড়িগ্রামে ধরলা তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত
- আপডেট সময় : ০৫:৪৯:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০২৩
- / ১৭০৮ বার পড়া হয়েছে
বৃষ্টি আর উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে ধরলা ব্রহ্মপুত্র দুধকুমার ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকে এলাকা প্লাবিত হয়েছে।বন্যার্তদের মাঝে দেখা দিয়েছে তীব্র খাবার সংকট। এদিকে,নীলফামারীতে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রাবহিত হচ্ছে তিস্তা নদীর পানি। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওযার পূর্বাভাস থাকায় তিস্তা ব্যারেজের সবকটি জলকপাট খুলে রেখে সর্তক রযেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বৃষ্টি আর উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে ধরলা ব্রহ্মপুত্র দুধকুমার ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এসব নদ-নদীর তীরবর্তী এলাকার বসতবাড়ীগুলোতে পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। দুধকুমার নদের পানি বামনডাঙ্গায় রাস্তা ভেঙ্গে প্রবেশ করায় পানিবন্দী অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ।
এদিকে..ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বেড়ে উলিপুর চিলমারী ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কয়েক ইউনিয়নে কয়েক হাজার মানুষও এখন পানিবন্দী। অনেকে দিনের বেলা ঘর-বাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গায় অবস্থান করলেও অনেক পরিবারের দিন কাটছে নৌকায়। বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হলেও বন্যার্তদের মাঝে তা বিতরণ শুরু হয়নি এখনও।
নীলফামারীতে তিস্তার পানি সকাল থেকে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও বিকেলের পর আবারো নদীর পানি বৃদ্ধির পূর্বাভাস না থাকায় তিস্তা ব্যারেজের সব জলকপাট খুলে রেখে সর্তক রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
নীলফামারীর ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে রোববার রাত থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
পানি বাড়া-কমার খেলায় শংঙ্কিত তিস্তা নদী সংলগ্ন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ছয় ইউনিয়নের ১৫ চর গ্রামের মানুষ।
এদিকে.. নদীর পানি আবারো বৃদ্ধির পূর্বাভাসে নদী পাড়ের মানুষদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড।