কেআরআই নাঙ্গালা’র এক মর্মস্পর্শী ভিডিও প্রকাশ করেছে ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী
- আপডেট সময় : ০৮:৫৫:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫৪০ বার পড়া হয়েছে
বালির সমুদ্র উপকুলে সম্প্রতি নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ডুবোজাহাজ- কেআরআই নাঙ্গালা’র এক মর্মস্পর্শী ভিডিও প্রকাশ করেছে ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ডুবে যাওয়া সাবমেরিনের নাবিকেরা গাইছেন ইন্দোনেশিয়ার একটি হিট গান। যার মানে হচ্ছে ‘আবার দেখা হবে’। তিন দিনের ঘটনা পরিক্রমার পর রোববার সন্ধ্যায় দেশটির সেনাবাহিনী ঘোষণা করে, তারা সাবমেরিনটি পানির প্রায় ৮৪০ মিটার গভীরে তিন টুকরা অবস্থায় খুঁজে পেয়েছেন এবং সেখানে থাকা ৫৩ ক্রুর সবাই মারা গেছেন।
জার্মানিতে তৈরি কেআরআই নাঙ্গালা সাবমেরিনটির বয়স ৪০ বছর। ২০১২ সালে এটির সংস্কারও হয়। ডুবে যাওয়ার পর নিখোঁজ সাবমেরিনটির অনুসন্ধানে যুক্ত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং ভারত। তখনো আশা করা হচ্ছিল সাবমেরিনটি হয়ত উদ্ধার করা সম্ভব হবে, এবং নাবিকদের হয়ত বাঁচানো যাবে। এরপরই সিঙ্গাপুর থেকে আনা একটি উদ্ধারকারী ডুবোজাহাজ পাঠানো হয় সাবমেরিনের অবস্থান এবং ধ্বংসাবশেষের চাক্ষুষ প্রমাণ দেখতে । কিন্তু রোববার সন্ধ্যায় যখন সাবমেরিনটি ডুবে যাওয়ার খবর আসে, তখন সব আশা-ভরসা শেষ হয়ে যায়।
এদিকে, ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর প্রকাশ করেছে কয়েক সপ্তাহ আগে ধারণ করা ৫৩ নাবিকের এক মর্মস্পর্শী ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ডুবে যাওয়া সাবমেরিনের নাবিকেরা অ্যাকুস্টিক গিটার বাজিয়ে গাইছেন সাম্পাই জুমপা নামে ইন্দোনেশিয়ার একটি হিট গান, যার মানে হচ্ছে ‘আবার দেখা হবে’ তোমার মঙ্গল হোক।” সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তার বিদায়ী সংবর্ধনার জন্য গাওয়া হচ্ছিল গানটি, তখন সেটি রেকর্ড করা হয়েছিল।
সোমবার নিহত নাবিকদের স্বজনেরা বালির সমুদ্রতীরে এক শোকসভায় মিলিত হন। মগ্ন হন প্রার্থণায়। আপনজনকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল তারা। সেখানে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো সাবমেরিনের নাবিকদের দেশের ‘সেরা দেশপ্রেমিক’ বলে বর্ণনা করে বলেন, প্রাণ হারানো নাবিকদের সবাইকে দেশটির নৌবাহিনীর সম্মানজনক ‘বিনতাং জলসেনা’ পদক দেয়া হবে। নিহত নাবিকদের সন্তানদের পড়াশুনার খরচ সরকার বহন করবে। পরিবারেই।
নিখোঁজ হবার আগে এক টর্পেডো মহড়ায় অংশ নিয়েছিল সাবমেরিনটি এবং এর ডুবে যাওয়ার কারণ এখনো জানা যায়নি। এদিকে, নৌবাহিনী বলছে তারা সাবমেরিনটির ধ্বংসাবশেষ এবং নাবিকদের মরদেহ উদ্ধারের পরিকল্পনা করেছে। তবে এর ধ্বংসাবশেষ সাগরের ৮০০ মিটারেরও বেশি গভীরে থাকায় উদ্ধারকাজ চালাতে বিশেষা যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হবে।