কোরবানির জন্য প্রস্তুত বিশাল আকৃতির লাল ও কালা চাঁন
- আপডেট সময় : ০২:২০:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩
- / ১৬১৫ বার পড়া হয়েছে
বাগেরহাটে কোরবানির জন্য প্রস্তুত লাল চাঁন ও কালা চাঁন নামের দুটি গরু। বিশাল আকৃতির গরু দুটির একটির ওজন ১০ মণ ও অন্যটির ১২ মণ।ঈদ ঘিরে ব্যস্ত টাঙ্গাইলের খামারীরাও। গো-খাবারের দাম বৃদ্ধি বৃদ্ধিতে কাঙ্খিত দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত তারা। ভারত থেকে গরু আমদানী বন্ধের দাবী তাদের। প্রাণীসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, ভারত থেকে গরু আমদানী বন্ধে কঠোর নজরদারী করছে কর্তৃপক্ষ। ঈদ কেন্দ্র করে এবছরও গরু পালন করছেন টাঙ্গাইলের খামারীরা। ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার না করে সবুজ ঘাস, খড়, ভূষি, ভাত, খৈল আর ভিটামিন খাইয়ে পশু লালন পালন করা হচ্ছে। তবে গো-খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খামারীদের খরচ অনেকে বেড়েছে। অন্যদিকে দেশে অর্থনৈতিক মন্দা থাকায় গরুর ভাল দাম পাওয়া নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় খামারীরা।
খামারের কর্মচারীরা জানান, প্রাকৃতিক উপায়ে গরু লালন-পালন করা হয়েছে। মালিক লাভবান হলে তারাও লাভবান হবেন।
গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে জেলা প্রানীসম্পদ বিভাগ জানায়, জেলায় পর্যাপ্ত কোরবানীর পশু রয়েছে। ভারত থেকে চোরাই পথে যাতে গরু আসতে না পারে সে ব্যাপারে কঠোর নজরদারী করা হচ্ছে।জেলায় মোট কোরবানীর পশু রয়েছে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার, আর চাহিদা দেড় লাখ। ফলে জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৩০ হাজার পশু দেশের বিভিন্ন হাটে পাঠানো যাবে।
এদিকে, প্রচন্ড রাগী স্বভাবের বাগেরহাটের লাল চাঁন ও কালা চাঁন। এরমধ্যে শাহিওয়াল জাতের লাল চাঁনের ওজন প্রায় ১০ মণ আর ফিজিয়ান কালা চাঁনের ওজন ১২মণ। গরু দুটির মালিক বাগেরহাট সদর উপজেলার চাঁপাতলা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান।সম্পূর্ণ দেশী খাবার দিয়ে গরু লালন পালন করা হয়েছে, দাবী খামার কর্মচারীদের।
গরু মোটাতাজা করতে বাগেরহাট জেলায় খামারীদের সব রকম সহযোগিতার কথা জানালেন জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা।
কোরবানির জন্য জেলায় প্রস্তুত প্রায় ১ লাখ ৪ হাজার ৫৮৬টি গবাদি পশু। আর চাহিদা রয়েছে ৯৯ হাজার ৪৩০টির। জেলায় খামারীর সংখ্যা ৩১ হাজার ৫৭৫ জন।