ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে চট্টগ্রামের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প
- আপডেট সময় : ১০:৫৫:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪
- / ১৭২০ বার পড়া হয়েছে
ডলার সংকটসহ বৈশ্বিক কারণে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে চট্টগ্রামের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প। বছরে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টন স্ক্র্যাপ লোহা উৎপাদনকারী এই সেক্টরটি থেকে গেলো বছর উৎপাদন হয়েছে মাত্র ১০ লাখ মেট্রিক টন। উদ্যোক্তারা বলছেন, সরকারের আমদানী সংকোচন নীতির ভুল ব্যাখ্যা করে সম্ভাবনাময় এই খাতটিকে ধ্বংস করা হচ্ছে। এতে উল্টো ডলারের অপচয় বাড়ছে। এক বছরের ব্যবধানে তিনটিসহ মোট চারটি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড গ্রীণ ইয়ার্ডের মর্যাদা পেয়েছে। মানোন্নয়নের কাজ চলছে আরো অন্তত ১০ টি ইয়ার্ডে। করোনার পর সম্ভাবনাময় শিল্পটিতে বিনিয়োগ বাড়াতে শুরু করে উদ্যোক্তারা।
গেলো ১০ বছর ধরে গোটা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়া উদিয়মান এই শিল্পটিতে হঠাৎ করেই ছন্দপতন ঘটেছে। বৈশ্বিক কারনে আন্তর্জাতিক বাজারে পরিত্যাক্ত জাহাজের সহজলভ্যতা কমার পাশাপাশি দেশের বাজারে ডলারের দাম দুই বছর ধরেই অস্থির থাকায় ব্যয় বাড়ছে এই ভারি শিল্পে। শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড মালিকদের সংগঠন বিএসবিআরএ বলছে, রি-রোলিং মিল, ছোট আকারের বিভিন্ন নৌযান তৈরীসহ বেশ কয়েকটি সেক্টর গড়ে উঠেছে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের ওপর ভর করে। বর্তমান বাস্তবতায় ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে ওইসব খাত। উদ্যোক্তারা বলছেন, ডলারের অপচয় রোধে সরকারের আমদানী সংকোচন নীতির ভুল ব্যাখ্য দিয়ে জটিলতা তৈরী করা হচ্ছে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে। চাহিদামত সময়ে এলসি করতে না পারায় প্রতিযোগীতায় টিকতে পারছেন না তারা।
ভাসমান এই লোহার খনির ওপর নির্ভর করে দেশে গড়ে উঠেছে ছোট বড় অন্তত ৫ শতাধিক রি-রোলিং মিল। যার প্রধান কাঁচামাল স্ক্র্যাপ লোহা। জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের উৎপাদন কমায় আমদানী বেড়েছে স্ক্র্যাপ লোহার। ফলে জাহাজ আমদানী কড়াকড়ি করেও ঠেকানো যাচ্ছেনা ডলারের অপচয়।