ক্লাস্টার পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করে লাভবান হচ্ছে উপকূলীয় অঞ্চলের চাষিরা
- আপডেট সময় : ০৩:৪৬:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অগাস্ট ২০২০
- / ১৫৪২ বার পড়া হয়েছে
খুলনায় ক্লাস্টার পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করে লাভবান হচ্ছে উপকূলীয় অঞ্চলের চাষিরা। জেলার ডুমুরিয়ায় চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মৎস্য উৎপাদন বেড়েছে। সাত বছর পরীক্ষার পর এই পদ্ধতি স্বীকৃতি পেয়েছে। এতে চিংড়ি চাষে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে বলে মনে করছেন, সংশ্লিষ্টরা।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ি চাষে ভাইরাস, মড়ক, ন্যায্য দাম না পাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে চাষিরা হতাশায় দিন পার করছে। ঠিক এমন সময়ই ‘ক্লাস্টার পদ্ধতি’ নতুন সম্ভাবনা ও আশার আলো নিয়ে এসেছে মৎস্য অধিদপ্তর।
এই পদ্ধতিতে শুধু চিংড়ি নয়, সাখে আরো দেশীয় মাছ চাষ করা হয়।১৫৩ জন মৎস চাষী ক্লাস্টার পদ্ধতিতে মৎস চাষ শুরু করেন।বর্তমানে ২২৮ জন চাষি প্রাথমিক অবস্থায় ৭৫ হেক্টর ঘের ও জলাশয়ে চিংড়ি চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এর মধ্যে ৬০ জন নারীও আছেন। এই সাফল্যে চিংড়ি চাষে নতুন করে প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হচ্ছে।
ক্লাস্টার পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ সম্প্রসারণ সম্ভব হলে, উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের দক্ষিন উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে মনে করেন, এই কর্মকর্তা।
চিংড়ি চাষের এই মডেল খুলনাসহ ২৯টি উপজেলায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানান, এই বিভাগীয় কর্মকর্তা।
গ্রামীন অর্থনীতির উন্নয়ন ও পুষ্টির চাহিদা পূরনে মৎস্য খাতের এ কর্মকান্ড অব্যাহত রাখার জোর দাবি জানিয়েছে, সংশ্লিষ্টরা।