দিনাজপুরে ক্ষতির মুখে পড়েছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা
- আপডেট সময় : ০৬:১৭:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ জুন ২০২৩
- / ১৫৯৫ বার পড়া হয়েছে
দিনাজপুরে ব্যবসায়ীরা প্রতি পিস বড় আকারের চামড়া কিনেছেন ৫শ’ থেকে ৮শ’ টাকা পর্যন্ত। তবে বিক্রি করতে হচ্ছে আড়াইশো থেকে ৫শ’ টাকায়। ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
দিনাজপুর শহরের রামনগরের এলাকার গেল রাত ১২টার দৃশ্য এটি। কোরবানির চামড়ায় ভরা পুরো চামড়া পট্টি। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ভ্যান, ট্রাক, টলিতে করে বিক্রির জন্য চামড়া আসছে। তবে গেল বারের চেয়েও এবার চামড়ার দাম আরো কম হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।
বিভিন্ন এতিমখানার পক্ষ থেকেও প্রচুর চামড়া এসেছে। কাঙ্খিত দাম না পেয়ে হতাশ বিক্রেতারা। এতে এতিমখানার খরচ জগতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
ব্যবসায়ীরা জানালেন, ঢাকার ট্যানারি মালিকরা তাদের পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় নগদ অর্থ নেই তাদের কাছে। তাই চামড়া কিনতে পারছেন না তারা।
খুলনায় চামড়া পট্টিখ্যাত মহানগরীর শেরে বাংলা রোডে চামড়া ব্যবসায়ীদের দোকান ঘর না থাকলেও ঈদের দিন বিকাল থেকে তিন দিন রাস্তা ও ফুটপাতে বসেই কেনাবেচা চলে। চামড়ায় লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাতের জন্য প্রস্তুত করা হয়ে ফুটপাতে বসেই। এতে কাঁচা চামড়া, রক্ত ও পানির গন্ধে অসহায় পথচারী ও এলাকাবাসী।
এদিকে..সাভারের চামড়া শিল্প নগরীর ট্যানারিগুলোতে ঢুকতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর চামড়া। ঈদের দিন বিকেল থেকেই রাজধানী ও আশেপাশের এলাকাগুলো থেকে আসতে শুরু করে চামড়া। মাসজুড়েই লবন মাখা কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করা হবে। স্থানীয় বিক্রেতাদের দাবী, চামড়ার দাম গতবারের তুলনায় একটু বেশী হলেও সেটা ন্যায্য মূল্যের চেয়ে অনেক কম। আর ট্যানারীর মালিকরা বলছেন, সরকার নির্ধারিত দামেই চামড়া কিনছেন তারা।