কয়েকদিনের টানা হাড়কাঁপানো শীত জেঁকে বসেছে সারাদেশে

- আপডেট সময় : ০৮:০৮:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২০
- / ১৫৪৪ বার পড়া হয়েছে
কয়েকদিনের টানা হাড়কাঁপানো শীত জেঁকে বসেছে সারাদেশে। এদিকে, হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া ও শীতজনিত রোগী। সেইসঙ্গে এই শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ।
লালমনিরহাটে শীতের তীব্রতা বেড়ে তাপমাত্রা নেমে আসে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। এতে প্রচন্ড শীত আর কনকনে ঠান্ডা বাতাসে জবুথবু হয়ে পড়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনজীবন।
পঞ্চগড়ে ঘনকুয়াশার সাথে পাল্লা দিয়ে বইছে হিমেল হাওয়া। এতে শীতের তীব্রতা বাড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের সঙ্গে শহরের তীব্র যানজটে ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ।
গাইবান্ধায় প্রচণ্ড শীতের কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না নিম্ন আয়ের মানুষ। এদিকে হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া ও শীত জনিত রোগীর সংখ্যা।
কুষ্টিয়ায় গত কয়েকদিন ধরে হঠাৎ করে ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে শীত ঝেঁকে বসেছে। প্রচণ্ড শীত আর ঘন কুয়াশায় জনজীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়।
ঝালকাঠিতে হাড় কাপানো তীব্র শীতে কাঁপছে মানুষ। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ঘন কুয়াশার কারণে সকাল থেকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।
ঝিনাইদহে আবারো বাড়তে শুরু করেছে শীতের তীব্রতা। রোববার সকাল থেকে শীত বেশি অনুভুত হচ্ছে। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বেশি বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ।
কুড়িগ্রামে তীব্র শৈত্য প্রবাহে আবারো জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশার সাথে কনকনে ঠাণ্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে মানুষ।
মানিকগঞ্জে কিছুতেই কমছেই না শীত । এতে বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের শ্রমিকরা।
ময়মনসিংহে টানা কয়েকদিনের হাড়কাঁপানো শীতে জবুথুবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। সকাল এবং রাতে বৃষ্টির ফোঁটার মতো পড়ছে কুয়াশা।
নড়াইলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ডিগ্রী সেলসিয়াস। কনকনে শীতে দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট বেড়েছে।
ঘন কুয়াশা আর শৈত প্রবাহে নেত্রকোনার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রচন্ড ঠান্ডায় কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
উত্তরের জেলা পাবনায় কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শীতে বেকায়দায় পরেছে নিম্ন আয়ের মানুষ। সূর্যের দেখা মিলেও কমছে না শীতের তীব্রতা।
তীব্র শীতে সাতক্ষীরায় স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হওয়ায় গরিব মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। ঠান্ডাজনিত কারনে শিশুরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর-সর্দি ও কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জে প্রায় ৩সপ্তাহ ধরে চলা ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ার কারনে সৃষ্ট শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন এখনো বিপর্যস্ত ।
টাঙ্গাইলে কয়েকদিন বেশির ভাগ সময়ই সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘনকুয়াশায় আর ঠান্ডা বাতাস অব্যাহত থাকায় জন জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।