খালাস পেলেন নোবেলজয়ী মারিয়া রেসা
- আপডেট সময় : ১১:৪৪:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১৬৭৭ বার পড়া হয়েছে
ফিলিপাইন্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতের্তের কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত রেসাকে এর আগে আটকও করা হয়েছিল৷
২০১৫ সালে নির্বাচনি প্রচারণার সময় থেকেই সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে তোপ দাগাতে শুরু করেন দুতার্তে৷ তখনই প্রথম মামলাটি হয় রেকার বিরুদ্ধে৷ ২০১৬ সালে দুর্তাতে দেশের ১৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর রেসার বিরুদ্ধে আরো কিছু মামলা হয়৷ পাঁচটি ছিল কর ফাঁকির মামলা৷
গত জানুয়ারিতে একটি আদালত চারটি মামলা থেকে খালাস দেয়ায় কর ফাঁকির চলমান সর্বশেষ মামলাটির দিকে তাকিয়ে ছিলেন সবাই৷ আদালত সেই মামলাতেও নির্দোষ ঘোষণা করায় মঙ্গলবার নোবেলজয়ী অনুসন্ধানী সাংবাদিক বলেন, ‘‘এই খালাস বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা রাজনৈতিকভাবে অপদস্থ করার যাবতীয় প্রয়াস, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সব ধরনের আক্রমণ সত্ত্বেও অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে৷”
৫৯ বছর বয়সি মারিয়া রেসা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক৷ তবে ফিলিপাইন্সে থেকেই সাংবাদিকতা করেন৷
অনুসন্ধানী সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট র্যাপলার-এর সিইও এবং অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রেসা ও রাশিয়ার সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভ সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য ২০২১ সালে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান৷
করফাঁকির পাঁচটি মামলা থেকে একে একে খালাস পেলেও রেসার আইনি লড়াই অবশ্য এখনো শেষ হয়নি৷ তার এবং তার সাবেক সহকর্মী রে সান্তোস জুনিয়রের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে একটি মানহানির মামলা এখনো চলছে৷ এ মামলায় আটকও হয়েছিলেন তিনি৷ জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি আপিল করেন৷ আপিলে হেরে গেলে মারিয়া রেসা ও রে সান্তোস জুনিয়রের সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডও হতে পারে৷
মারিয়া রেসার দাবি, সবগুলো মামলাই রাজনৈতিকউদ্দেশ্যপ্রণোদিত৷ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে নোবেলজয়ী সাংবাদিক শুরু থেকেই বলে আসছেন, তাকে রুখে দেয়ার যত চেষ্টাই হোক তিনি থামবেন না৷
জামিনে মুক্ত হলেও মারিয়া রেসা অবশ্য যখন খুশি বিদেশে যেতে পারেন না৷ কোনো কারণে বিদেশে যেতে হলে যাওয়ার আগে আদালতের অনুমতি নিতে হয় তাকে৷
ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ