গোপালগঞ্জও কুড়িগ্রামের মন্দিরগুলোতে শুরু হয়েছে প্রতিমা তৈরীর কাজ
- আপডেট সময় : ০৩:৫৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৫৬১ বার পড়া হয়েছে
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূঁজা উপলক্ষে গোপালগঞ্জও কুড়িগ্রামের মন্দিরগুলোতে শুরু হয়েছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। জাঁকজমকপূর্ণভাবেই এবার পূঁজা আয়োজনে সচেষ্ট রয়েছেন আয়োজকেরা।
গোপালগঞ্জ জেলার ৯ উপজেলায় এবার রেকর্ড ১ হাজার ২৭৭টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ২৫ সেপ্টেম্বর মহলয়া দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠিকতা। ১ অক্টোবর বোধন দিয়ে মহাষষ্ঠীতে দেবী আগমন। সপ্তমী আরতীতে পূজা, অঞ্জলী, নবমী দিয়ে ৫ অক্টোবর বিসর্জনে শেষ হবে দুর্গার আরাধনা।
খড় ও মাটি দিয়ে মন্দিরগুলোতে পরম যত্নে চলছে প্রতিমা গড়ার কাজ। মাটির লেপে রং তুলির টানে প্রতিমার স্বরূপ ফুটে উঠছে দিনে দিনে। এবছর শিল্পীরা একেকজন ৪ থেকে ৯টি করে দেবী তৈরীতে দিনরাত পার করছেন। মজুরি কম পেয়েও আদি পেশা টিকিয়ে রাখছেন তারা।
এবার জাঁকজমক পূজা আয়োজনে ব্যস্ত আয়োজকেরা। দেবী দুর্গার সাথে ধরনীতে আসবে লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক ও সরস্বতি। চলছে সেই ঠাকুর বানানোর কাজ।
সরকার ও পূজা উদযাপন পরিষদের সব নির্দেশনা মেনে কাজ করার অনুরোধ পূজা উদযাপন পরিষদের।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপুঁজা সামনে রেখে প্রতিটি পুঁজা মন্ডব থেকে প্রতিমার বায়না এসেছে মালাকারদের কাছে। সে লক্ষে কাজ শুরু করেছেন তারা। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, কুড়িগ্রামের মালাকার পাড়ায় চলছে সময়মত প্রতিমা তৈরি ও সরবরাহের প্রতিযোগীতা।
আগে শুধু মালাকারাই প্রতিমা তৈরির কাজ করলেও এবার অপেশাদাররাও প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। এতে প্রতিমার দাম কমে গেছে। তবু আদি পেশা টিকিয়ে রাখার প্রচেষ্টা তাদের।
জেলার শান্তিপুর্ণভাবে শারদীয় দুর্গাপুঁজা উদযাপনে প্রশাসনের সহযোগীতা চেয়েছেন জেলা পুঁজা উদযাপন কমিটি।
দুর্গাপুঁজাকে ঘিরে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রস্তুতির কথা জানান পুলিশ সুপার।
এ বছর দেবী দুর্গা আসবে গজে চড়ে। আর কৈলাশে ফিরবেন নৌকায়। এতে পৃথিবীতে শস্য ও জল বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।