গ্যাস সংকটে দুর্ভোগে আবাসিকের পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিল্পখাত
- আপডেট সময় : ১১:৩৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪
- / ১৬১৯ বার পড়া হয়েছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অস্বাভাবিক মাত্রায় কমেছে গ্যাসের চাপ। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন আবাসিকের পাশাপাশি শিল্পখাতের গ্রাহকরাও। বিসিক শিল্পনগরীর গ্যাস নির্ভর কারখানায় উৎপাদন কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ। কবে নাগাদ গ্যাসের চাপ স্বাভাবিক হবে- তা স্পষ্ট করে বলতে পারছে না বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।
বহুতল আবাসিক ভবন হলেও সিড়ি কোঠায় জ্বলছে মাটির চুলা। সন্তানদের স্কুলের টিফিন কিংবা জরুরি অতিথি সেবায় এই চুলাই এখন ভরসা রুমা খন্দকারের। গ্যাস সংকটে দীর্ঘদিন ধরে সময়মতো ৩ বেলার রান্না দূরের কথা, নিত্যদিনের অন্য কোন কাজও সামাল দিতে পারছেন না। একই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা সাহিদা আক্তার বাধ্য হয়ে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন ব্যয়বহুল গ্যাস সিলিন্ডারে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের ২৩টি কূপ থেকে প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে প্রায় ৪০ কোটি ঘনফুট গ্যাস। জেলার সদর, সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলায় ২২ হাজার আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্রাহকের দৈনিক চাহিদা মাত্র ১ কোটি ২০ লাখ ঘনফুট হলেও কয়েক মাস ধরে কম চাপের কারণে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস না পেয়ে ক্ষুব্ধ তারা।
এদিকে গ্যাসের চাপ কমায় জেলার বিসিক শিল্পনগরীর গ্যাসনির্ভর কারখানাগুলোতে উৎপাদন কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ। এতে লোকসানে পড়েছেন কারখানা মালিকরা।
গ্যাসের চাপ কমায় বিঘ্নিত হচ্ছে সিএনজি পাম্পের সেবাও। রূপান্তর খরচ বাড়ায় সংকট নিরসনে তিতাস ও বাখারাবাদ ডিস্ট্রিবিউশনের সমন্বয়ের পরামর্শ সিএনজি ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের।
সহসা এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তির পথ নেই জানিয়ে চাহিদা অনুযায়ী চাপ না থাকার কারণ ব্যাখ্যা করলেন গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস দিতে ৬০ পিএসআই চাপ প্রয়োজন হলেও তিতাস ও বাখরাবাদ গ্যাস সরবরাহ করছে ৪০ পিএসআই চাপে।