ঘরমুখী মানুষের স্রোত নেমেছে রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে
- আপডেট সময় : ০৭:৫৭:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ মে ২০২২
- / ১৫৪১ বার পড়া হয়েছে
শেষ সময়েও প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছেড়ে যাচ্ছে লাখো মানুষ। ঘরমুখী মানুষের স্রোত নেমেছে রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। সকাল থেকেই যাত্রীদের উপচে’পড়া ভিড়। এই ভিড়ের কারণ হিসাবে সবাই দায়ী করছেন অল্প ছুটি ও বেতন-বোনাস দিতে দেরী হওয়াকে। সবার ছুটি একসাথে হওয়ায়, একই সময়ে রাজধানী ছাড়ায় যাত্রীদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে।
লোকে লোকারণ্য রাজধানী ঢাকার জনসংখ্যা প্রায় দুই কোটি। প্রতিবছর ঈদের ছুটিতে প্রায় এক কোটি মানুষ ঢাকা ছাড়ে। ফলে নৌপথ নির্ভর দক্ষিণের জেলাগুলোতে যেতে অন্তত ৩০ লাখ যাত্রীর চাপ একসাথে পড়ে ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। পর্যাপ্ত পরিবহণ না থাকায়, ভিড়ের মাঝে ঠাসাঠাসি করেই ঝুঁকি নিয়ে ছুটতে হয় যাত্রীদের।
গরমকে উপেক্ষা করে যাত্রীরা ঈদের বন্ধে প্রিয়জনদের সান্নিধ্য পেতে যাচ্ছে গ্রামের বাড়ি। এ সময় লঞ্চের সার্ভিস নিয়েও রয়েছে যাত্রীদের বিস্তর অভিযোগ।
এমন উপচে’ পড়া ভিড় আর ঠাসাঠাসি করে যাওয়ার কারণ হিসেবে তারা দায়ী করেন ঈদের অল্প ছুটিকে। সরকার ঈদে অন্তত ১০ দিন ছুটি ঘোষণা করে বেতন-বোনাস আগেই দিয়ে দিলে মানুষ সুশৃঙ্খলভাবে ধাপে ধাপে স্বস্তিতে বাড়ী যেতে পারে বলে মনে করেন তারা।
বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক বলেন, ঈদযাত্রায় প্রতিদিন দেড়শ’র মতো লঞ্চ প্রস্তুত থাকে। যার ধারণ ক্ষমতা ২ লাখ থেকে সর্বোচ্চ আড়াই লাখ। ফলে অল্প সময়ের ছুটি হওয়ায়, মাত্র ২/৩ দিনে ৩০/৪০ লাখ যাত্রী পরিবহন কখনোই সম্ভব নয়। এজন্য ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত কয়েকগুণ যাত্রীর চাপ সৃষ্টিতে পড়তে হয় নানা প্রতিকূলতায়।
এদিকে নৌপথে যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নৌপুলিশ। তারপরও একসাথে এতো যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হিমশিম খাচ্ছে তারা।
এ সময় কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা থাকায়, আবহাওয়ার পূর্বাভাস পেলেই সারেদের লঞ্চ নদীপাড়ে স্থির রাখার পরামর্শ দিয়েছেন সিনিয়র মাস্টাররা।
আগামীতে ঈদের ছুটি বাড়িয়ে যাত্রীচাপে ভারসাম্য এনে, সবাইকে স্বস্তিতে ও নিরাপদে বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।