উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি
- আপডেট সময় : ০৪:২৮:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩
- / ১৯৬০ বার পড়া হয়েছে
উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। পায়রা-মোংলায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেয়া হয়েছে। সারাদেশে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ চলাচল।
পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর চার লাখ মানুষের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭৩৮টি আশ্রয় কেন্দ্র। ঘূর্ণিঝড় মিধিলি শুক্রবার সকালে মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে সন্ধ্যা নাগাদ খেপুপাড়ার নিকট দিয়ে মংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ভোলায় দু’দিন ধরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সাথে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ মোকাবিলায় ভোলায় ৮৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্র, ১২টি মুজিব কিল্লা, ১৩ হাজার ৮৬০ জন সিপিপি সদস্য প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া নগদ টাকাসহ খাদ্যদ্রব্যও মজুদ রাখা হয়েছে।
খুলনায় সময় বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টি ও বাতাসের গতি বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। হতে পারে জলোচ্ছ্বাস। ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টারসহ প্রস্তুত ৫ হাজার ২৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক। বাতিল করা হয়েছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি।
চাঁদপুরে বেড়েছে বৃষ্টিপাত ও বাতাসের গতি। বন্ধ লঞ্চসহ সব ধরনের নৌ যান চলাচল। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, চাঁদপুর নদী বন্দর থেকে ৩ নম্বর সংকেত দেখানো হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে সাতক্ষীরায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সাথে বইছে দমকা হাওয়া। নদীগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে উত্তাল। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রস্তুতি নিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন। উপকূলীয় এলাকাকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। অভ্যন্তরীণ রুটে সব নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
নোয়াখালীর হাতিয়া, কোম্পানীগঞ্জ ও সুবর্ণচরসহ বিভিন্ন স্থানে হালাকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৈরি আবহাওয়ায় হাতিয়ার সাথে সারা দেশের নৌযান চলাচল বন্ধ। জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, দূর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত ৪৮৫টি আশ্রয়ন কেন্দ্র।
ঝালকাঠিতে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় ভোগান্তি বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের। বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ। সুগন্ধা ও বিষখালি নদীর পাড়ের মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক। ক্ষতির মুখে আমন ধানসহ শীতকালিন সবজি ক্ষেত।
এদিকে..ঘূর্ণিঝড়ের কবলে গভীর বঙ্গোপসাগরে বরগুনার ৩শ’ জেলেসহ মাছ ধরার ২০ টি ট্রলার নিখোঁজ। এতে জেলে পল্লীতে উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী জানান, এফবি রিফাত নামের একটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। তবে ওই ট্রলার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে জেলেদের।