রাতেই আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় হামুন
- আপডেট সময় : ০৫:৩৭:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
- / ১৭১৯ বার পড়া হয়েছে
ধীরে ধীরে ধেয়ে আসছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুন। রাতেই আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এরইমধ্যে উপকূলে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। প্রভাবে চট্টগ্রাম ও পায়রায় ৭, কক্সবাজারে ৬ এবং মোংলায় ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সারাদেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। ঝড় কবলিত এলাকায় সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে।ঘুর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় সব দুপুরে জরুরী বৈঠক করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ব্রিফিংয়ে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ঝড়ের প্রভাবে রাত থেকেই বহিনোঙ্গোরে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকে জেটির অপারেশনও বন্ধ।
তবে যে সব গাড়ি ইতিমধ্যে বন্দরের ভেতরে প্রবেশ করেছে তাদের কন্টেইনার দিয়ে বের করে দেয়া হচ্ছে। লাইটার জাহাজগুলোকে শাহ আমানত ব্রীজের ওপরে কর্ণফুলী নদীর উজানে অবস্থান করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে সমন্বয় করে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের সব ধরনের অপারেশন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজারে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। এখন ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। তবে দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া ও প্রবালদ্বীপ সেন্টমাটনসহ উপকূলীয় এলাকায় কিছুটা ঝুঁকিতে রয়েছে।সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন।
ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে ঢাকা-বরিশাল ও দক্ষিণাঞ্চলের সব রুটের নৌযান চলাচল সকাল ১০ টা থেকে বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ। ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে জেলা সদরসহ সারা দেশের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় পটুয়াখালীতে ৭০৩টি আশ্রয় কেন্দ্র, ৩৫টি মুজিব কিল্লাসহ প্রায় ৯ হাজার ভলান্টিয়ার কাজের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ১০ লাখ টাকা এবং ৬০০ মেট্রিকটন খাদ্য শস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ত্রাণ হিসেবে।
বরগুনায় জেলায় ৯ হাজার ৬১৫জন স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রয়েছেন। উপকূলে সাড়ে ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সাতক্ষীরায় জেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবেলায় ভোলায় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭৪৩ টি সাইক্লোন সেন্টার, ১২ টি মুজিব কিল্লা ও ১৩ হাজার ৮৬০ জন সিপিপি