চট্টগ্রামের অসহনীয় লোডশেডিংয়ে নাকাল নগর জীবন
- আপডেট সময় : ১১:০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০২৪
- / ১৭৯৯ বার পড়া হয়েছে
ভয়াবহ তাপদাহের সাথে অসহনীয় লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত বন্দর নগরী চট্টগ্রামের জনজীবন। তেল গ্যাস ও পানির সংকটে ২৯টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে অন্তত ১০টি বন্ধ। ফলে সক্ষমতার ৪০ শতাংশ উৎপাদন হচ্ছে না চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে। তারপরও যা উৎপাদন হচ্ছে, তা জাতীয় গ্রীডের মাধ্যমে সরবরাহ করায় চাহিদার ৩৫ শতাংশ বিদ্যুৎ কম মিলছে। যা লোডশেডিং দিয়ে সমন্বয় করছে বিদ্যুৎবিভাগ। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে চট্টগ্রামের উৎপাদনমুখী কলকারখানা। ক্যাব বলছে, সংকটের চেয়েও অব্যবস্থাপনার কারণে দুর্ভোগে বাড়ছে সাধারণ মানুষের।
অনাবৃষ্টির সঙ্গে তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত সারাদেশ। আর চট্টগ্রামে এই বিপর্যয়ের মাত্রা একধাপ বাড়িয়েছে অসহনীয় লোডশেডিং। প্রচণ্ড গরমের সাথে বিদ্যুতের ভেল্কিবাজিতে হাসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। চট্টগ্রামে ছোট-বড় ২৯টি বিদ্যুত কেন্দ্র আছে। তেল গ্যাস ও পানির সংকটে ১০টিই বন্ধ দীর্ঘদিন। বাকি ১৯টি অপারেশনে থাকলে সক্ষমতার সবটুকু ব্যবহার করতে পারছে না একটিও। এজন্য অব্যবস্থাপনাকেই দুষছেন ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ক্যাব।বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, তীব্র গরমের কারনে বিদ্যুতের চাহিদা প্রতি মুহুর্তে বাড়ছে। বিপরীতে যোগানের নিশ্চয়তা না পাওয়ায় এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং ও কলকারখানা শাটডাউন করে সংকট মোকাবিলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
চাহিদা – ১২৯৪ মেগাওয়াট (দৈনিক)
সরবরাহ – ৯৮০ মেগাওয়াট (দৈনিক)
ঘাটতি – ৩১৪ মেগাওয়াট (দৈনিক)
লোড শেডিং – ৫/৬ ঘন্টা (দৈনিক)
চট্টগ্রামের বিদ্যুৎকেন্দ্র:
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা – ২৯ টি
উৎপাদনে আছে – ১৯ টি
বন্ধ রয়েছে – ১০ টি
সচল কেন্দ্রগুলো থেকে উৎপাদন – ১৪৫০ মেগাওয়াট