চট্টগ্রামের বিভিন্ন খাল ও নালা নর্দমাগুলোর দুপাশে উচুঁ উচুঁ দেয়াল তৈরী করছে সিডিএ ও সিটি কর্পোরেশন
- আপডেট সময় : ০১:৪৬:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অক্টোবর ২০২১
- / ১৫৩৪ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামের বিভিন্ন খাল ও নালা নর্দমাগুলোর দুপাশে উচুঁ উচুঁ দেয়াল তৈরী করছে সিডিএ ও সিটি কর্পোরেশন। এতে কোথাও দুই ফিট আবার কোথাও চার ফিট পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে আশপাশের দোকানপাট-বাড়িঘর ও সড়কগুলো। সিডিএ বলছে, এখন না হলেও ৫০ বছর পর এসব প্রকল্পের সুফল পাবে নগরবাসী। আর বিশ্লেষকরা বলছেন খাল পাড়ের স্থায়ীত্ব বাড়াতে গিয়ে জনদুর্ভোগের বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে না প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
নগরীর হালিশহর পোর্ট কানেক্টিং রোডের চিত্র এটি। জোয়ারের পানি যাতে সড়কে না উঠতে পারে সেজন্য খাল ও নালা নর্দমাগুলোর দুপাড়ে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করছে সিটি কর্পোরেশন। এতে মূল সড়ক থেকে কোথাও ২ ফিট আবার কোথাও ৪ ফিট পর্যন্ত উচু করে দেয়াল তোলা হয়েছে। সড়কে জোয়ারের পানি ওঠার সম্ভাবনা আপাতত বন্ধ হলেও বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন খাল ও নালা নর্দমার দুপাশে উচুঁ উচুঁ দেয়াল
এটি নগরীর ষোলশহর ও বহদ্দারহাট এলাকার ছবি। জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল ও নালা সংস্কারের কাজ করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সিডিএ। কিন্তু দুপাড়ে রিটেইনিং ওয়াল নির্মানের চিত্র একই। নগরজুড়ে প্রায় ১৩ শো কিলোমিটার খাল ও নালার দুপাড়ে এমন দেয়াল তুলছে প্রতিষ্ঠানটি। সিডিএর দাবি, আগামী ৫০ বছর পরের নগরীকে কল্পনা করেই এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন তারা।
আর নগরবিদরা বলছেন, ভবিষ্যতের কথা বলে বর্তমানকে আড়াল করার চেষ্টা করছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে বাহারী নামের প্রকল্পগুলোর পেছনে সরকারের বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ হলেও সুফল পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ।
উচু উচু এসব দেয়ালের কোথাও কোথাও জানালার মতো আবার কোথাও পাইপের লাইনও করা আছে। কিন্তু রাস্তার লেভেল উচু হওয়ার পর এসব কি কাজে ব্যবহার হবে তারও কোন সদুত্তর নেই সংশ্লিষ্টদের কাছে।