০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামের যত্রতত্র অক্সিজেন প্লান্ট

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:০১:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩
  • / ১৬১৭ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে চাহিদা মেটাতে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই গড়ে উঠছে অক্সিজেন প্লান্ট। ফলে জাহাজ ভাঙ্গা, রড তৈরী ও স্ক্র্যাপ নির্ভর শিল্প কারখানায় ঝুঁকিপুর্ণ গ্যাসের ব্যবহার বাড়ছে।

মালিকদের আন্তরিকতার অভাব আর তদারকি প্রতিষ্ঠানগুলোর অবহেলা ও অনীহায় কি-এম ডিপো কিংবা সীমা অক্সিজেন প্লান্ট ট্রাজেডির মতো ঘটনা ঘটছে। বিশেজ্ঞরা বলছেন, ঝুঁকিপুর্ণ এই টেকনিক্যাল কারখানাগুলো পরিচালনায় দক্ষ জনবল ও রক্ষণাবেক্ষনের কিছুই নেই। ফলে পান থেকে চুন খসলেই নেমে আসছে বিপর্যয়।

একটি সিলিন্ডারে পিয়র অক্সিজেন আর অন্যটিতে থাকে এ্যাসিটিলিং গ্যাস। দুটির সংমিশ্রনে সৃষ্ট আগুনের শিখা দিয়েই কাটা হয় লোহা। যা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় সীতাকুণ্ড উপকুলে গড়ে ওঠা শতাধিক জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পসহ রড তৈরীর রি-রোলিং মিলে।

ফৌজদারহাট থেকে সীতাকুন্ডু পর্যন্ত এমন গ্যাস ব্যবহার করার মতো প্রতিষ্ঠান আছে সাড়ে চারশো।  এতোগুলো প্রতিষ্ঠানের চাহিদা মেটাতে ছোট-বড় অক্সিজেন প্লান্ট গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক। গেলো শনিবার যার একটিতে ঘটেছে ভয়াবহ বিস্ফোরণ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ প্রাকৃতিক গ্যাসের চেয়ে অক্সি-এ্যাসিটিলিংয়ের বিধ্বংসী ক্ষমতা অনেক বেশি। তাই এই ধরনের প্লান্ট পরিচালনায় দক্ষ জনবল ব্যবহার ও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষন জরুরি।

সাধারণ এলপিজি বা এলএসজিসহ প্রাকৃতিক গ্যাসের টেম্পারেচর থাকে ২ শো থেকে আড়াইশো ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিপরীতে অক্সি-এ্যাসিটিলিংয়ের টেম্পারেচর থাকে ৩ হাজার ২ শো ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তাই অক্সিজেন প্লান্টের মূল কলামের চারপাশে কংক্রিটের দেয়াল তৈরীসহ সংরক্ষন করা সিলিন্ডারগুলো হতে হবে বিশেষায়িত। কিন্তু সীতাকুন্ডের অক্সিজেন প্লান্টগুলোতে মানা হয় না কোন কিছুই।

উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস ও কারখানা পরিদর্শন অধিদফতরের ওপর এসব নিয়মকানুন তদারকি করার দায়িত্ব থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয় না একেবারেই।

সীমা অক্সিজেন প্লান্টে বিস্ফোরনের শুরুতে সব ধরনের নিয়ম কানুন মেনে চলার দাবি করা হলেও, দুইদিন পর বক্তব্য জানতে গেলে দৌড়ে পালান প্রতিষ্ঠানটির মালিক।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

চট্টগ্রামের যত্রতত্র অক্সিজেন প্লান্ট

আপডেট সময় : ০২:০১:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে চাহিদা মেটাতে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই গড়ে উঠছে অক্সিজেন প্লান্ট। ফলে জাহাজ ভাঙ্গা, রড তৈরী ও স্ক্র্যাপ নির্ভর শিল্প কারখানায় ঝুঁকিপুর্ণ গ্যাসের ব্যবহার বাড়ছে।

মালিকদের আন্তরিকতার অভাব আর তদারকি প্রতিষ্ঠানগুলোর অবহেলা ও অনীহায় কি-এম ডিপো কিংবা সীমা অক্সিজেন প্লান্ট ট্রাজেডির মতো ঘটনা ঘটছে। বিশেজ্ঞরা বলছেন, ঝুঁকিপুর্ণ এই টেকনিক্যাল কারখানাগুলো পরিচালনায় দক্ষ জনবল ও রক্ষণাবেক্ষনের কিছুই নেই। ফলে পান থেকে চুন খসলেই নেমে আসছে বিপর্যয়।

একটি সিলিন্ডারে পিয়র অক্সিজেন আর অন্যটিতে থাকে এ্যাসিটিলিং গ্যাস। দুটির সংমিশ্রনে সৃষ্ট আগুনের শিখা দিয়েই কাটা হয় লোহা। যা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় সীতাকুণ্ড উপকুলে গড়ে ওঠা শতাধিক জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পসহ রড তৈরীর রি-রোলিং মিলে।

ফৌজদারহাট থেকে সীতাকুন্ডু পর্যন্ত এমন গ্যাস ব্যবহার করার মতো প্রতিষ্ঠান আছে সাড়ে চারশো।  এতোগুলো প্রতিষ্ঠানের চাহিদা মেটাতে ছোট-বড় অক্সিজেন প্লান্ট গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক। গেলো শনিবার যার একটিতে ঘটেছে ভয়াবহ বিস্ফোরণ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ প্রাকৃতিক গ্যাসের চেয়ে অক্সি-এ্যাসিটিলিংয়ের বিধ্বংসী ক্ষমতা অনেক বেশি। তাই এই ধরনের প্লান্ট পরিচালনায় দক্ষ জনবল ব্যবহার ও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষন জরুরি।

সাধারণ এলপিজি বা এলএসজিসহ প্রাকৃতিক গ্যাসের টেম্পারেচর থাকে ২ শো থেকে আড়াইশো ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিপরীতে অক্সি-এ্যাসিটিলিংয়ের টেম্পারেচর থাকে ৩ হাজার ২ শো ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তাই অক্সিজেন প্লান্টের মূল কলামের চারপাশে কংক্রিটের দেয়াল তৈরীসহ সংরক্ষন করা সিলিন্ডারগুলো হতে হবে বিশেষায়িত। কিন্তু সীতাকুন্ডের অক্সিজেন প্লান্টগুলোতে মানা হয় না কোন কিছুই।

উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস ও কারখানা পরিদর্শন অধিদফতরের ওপর এসব নিয়মকানুন তদারকি করার দায়িত্ব থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয় না একেবারেই।

সীমা অক্সিজেন প্লান্টে বিস্ফোরনের শুরুতে সব ধরনের নিয়ম কানুন মেনে চলার দাবি করা হলেও, দুইদিন পর বক্তব্য জানতে গেলে দৌড়ে পালান প্রতিষ্ঠানটির মালিক।