চট্টগ্রামের লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে যান চলাচলের জন্য সম্পুর্ণ প্রস্তুত
- আপডেট সময় : ০১:৫৬:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩
- / ১৮১৭ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামের লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত। আগামীকাল সকালে ভার্চুয়ালি পতেঙ্গা থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ছোট-খাটো কিছু কাজ বাকি থাকায়, সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দিতে আরও ক’দিন অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছে সিডিএ। আর নগরবিদরা বলছেন, সম্পুর্ণ প্রকল্প শেষ না করে, উদ্বোধন করায় ভবিষ্যতে জটিলতা তৈরী হতে পারে।
চট্টগ্রাম বন্দর সংলগ্ন একমাত্র মহাসড়কের ওপর দিয়ে নির্মিত এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বাস্তবতা নিয়ে শঙ্কা ছিল ক’বছর আগেও। কিন্তু সব শঙ্কা পেছনে ফেলে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে বন্দরনগরীর সবচেয়ে বড় এই উড়ালসড়কটি। মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি যার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফুটেজ-১
লালখানবাজার থেকে শাহ আমানত বিমান বন্দর কিংবা বঙ্গবন্ধু টানেল পর্যন্ত নির্মানাধিন উড়ালসড়কের টাইগারপাস মোড় পর্যন্ত উদ্বোধন করা হলেও, প্রকল্পটি সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দিতে আরো কিছুটা সময় লাগবে। কারণ সড়কবাতিসহ ফিনিসিংয়ের কাজগুলো এখনো বাকি।
বাস্তবায়নকারী সিডিএ বলছে, টানা ১৭ কিলোমিটার লম্বা উড়ালসড়কটি সাধারণ মানুষের ব্যবহার উপযোগী করতে ১৫টি পয়েন্টে রেম ও লুপ নির্মানের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে নানা প্রতিবন্ধকতায় ১২টি রেমের কাজই শুরু করা যায়নি। প্রকল্পের সুফল পেতে সব রেম ও লুপ নির্মাণ শেষ করা জরুরী। ফুটেজ-২
নগরবিদরা বলছেন, পুরো কাজ শেষ না করে প্রকল্প ব্যবহার শুরু হলে, কাজের মান নিয়ন্ত্রনে জটিলতা তৈরীর পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারিং ত্রুটিগুলো সমাধান কঠিন হয়ে পড়বে। সেটাফ
৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটিতে ভৌত অবকাঠাম উন্নয়নে ব্যয় ৩ হাজার দুই শো কোটি টাকা। ভুমি অধিগ্রহণসহ আনুসাঙ্গিক ব্যয় বাকি ৮ শো কোটি টাকা। সব রেম ও লুপ নির্মাণে ন্যূনতম হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হবে।
সোহাগ কুমার বিশ্বাস, এসএটিভি, চট্টগ্রাম।