চট্টগ্রামে জমে উঠেছে কোরবানী পশু বেচা-কেনা
- আপডেট সময় : ০৫:১৭:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ জুলাই ২০২২
- / ১৫৫৫ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে এখনো ৩০ হাজার কোরবানী পশুর ঘাটতি রয়েছে। তবে অন্যান্য জেলা থেকে আসা পশু দিয়ে এই ঘটতি পুরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রাণী সম্পদ অধিদফতর। এদিকে বাজারগুলোতেও জমে উঠতে শুরু করেছে পশুর বেচা-কেনা। তবে ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে দামের ফারাকটা এখনো কমেনি। বাজারে দর-দাম হাসিলের ঝামেলা এড়াতে অনেকেই ঝুঁকছেন খামারের দিকে। সরাসরি খামার থেকে পশু বিক্রি করতে নানামুখি অফার দিচ্ছে খামারমালিকরাও। একই চিত্র সারাদেশে।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কোরবানী পশুর বাজার চট্টগ্রামের সাগরিকার চিত্র এটি। বিক্রির উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাপারী আর খামারীদের আনা পশু বাজারের গণ্ডি পেরিয়ে আশপাশের সড়কে রাখা হয়েছে। কেনার চেয়ে দর কষাকষিতেই বেশি সময় ব্যয় করছেন আগত ক্রেতারা। বিক্রেতাদের দাবি, খাবারের দাম বৃদ্ধি, পরিবহনের বাড়তি খরচ সহ নানা কারণে এবার বাড়তি দামই হাঁকতেহ হচ্ছে তাদের।
আর ক্রেতাদের দাবি বাড়তি খরচের অজুহাতে কয়েকগুণ দাম বেশি চাইছে ব্যাপারীরা।
বাজারের চড়া দাম, হাসিল নিয়ে বিতর্ক, পশুর গুণগত মান নিয়ে সন্দেহ এড়াতে অনেকেই ঝুঁকছেন খামারের দিকে।
অন্যবার খামারগুলো থেকে বাজারে পশু তোলা হলেও এবারের চিত্র আলাদা। চট্টগ্রামের বড় বড় খামারের অধিকাংশই খামার থেকেই বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
প্রাণীসম্পদ অধিদফতর বলছে, এবার চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলায় ৮ লাখ ২১ হাজার কোরবানী পশুর চাহিদা রয়েছে। বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ৭ লাখ ৯১ হাজার।
গেলো ৫ বছরে চট্টগ্রামে পশু খামারের সংখ্য বেড়েছে কয়েকগুন। বিভিন্ন খাতে খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই আবার নিরুৎসাহিত হতে শুরু করেছে।