চট্টগ্রামে প্রবাসীর নামে ভুয়া কোম্পানী
- আপডেট সময় : ০১:০৯:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৪
- / ১৭২৮ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামের এক প্রবাসীর এনআইডি ও ছবি দিয়ে ভুয়া কোম্পানী করে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সংঘবদ্ধ চক্র। প্লট ও ফ্ল্যাট বিক্রির নামেও তারা হাতিয়ে নেয় বড়ো অংকের টাকা।এমন ৪টি প্রতারণার মামলা মাথায় নিয়ে, আমেরিকা থেকে এসে আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ওই প্রবাসী। আদালতের নির্দেশে অধিকতর তদন্ত করে প্রতারণায় জড়িত ১৪ সদস্যের সিন্ডিকেটের সন্ধান পেয়েছে পিবিআই।
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের বাসিন্দা মোহাম্মদ বাবুল মিয়া ৩০ বছর ধরে স্বপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। কিন্তু ২ বছর ধরে দেশে এসে ঘুরছেন আদালতের বারান্দায়। কারণ আমেরিকা থাকা অবস্থায় তার নামে দেশে চারটি মামলায় সমন হয়। এসব মামলার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকের দায়ের করা কোটি কোটি টাকার খেলাপি ঋণ, প্লট-ফ্ল্যাট বিক্রির নামে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার মামলা।
বাস্তবে এসবের সাতে-পাছে ছিলেন না বাবুল মিয়া। একটি সংঘবদ্ধ চক্র তার এনআইডি, ছবি ও ঠিকানা ব্যবহার করে একাধিক ভুয়া কোম্পানীর রেজিষ্ট্রেশন করেছে। পরে কোম্পানীর নামে ব্যাংক থেকে তোলা হয়েছে কোটি কোটি টাকার ঋণ। বিভিন্ন মানুষের কাছে বিক্রি করা হয়েছে প্লট ও ফ্লাটের কাগজ। ফুটেজ-১ এসবের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা। অথচ মামলার ঘানি টানতে হচ্ছে বৃদ্ধ এই প্রবাসীকে।
হয়রানীর থেকে রক্ষায় আদালতের শরনাপন্ন হন তিনি। আদালতের নির্দেশে অধিকতর তদন্ত করে সংঘব্ধ চক্রের ১৪ সদস্যকে চিহ্নিত করেছে পিবিআই। জিএফএক্স-১,২,৩ যার মুল হোতা মোহাম্মদ আরাফাত।জিএফএক্স-৪ শুনানি শেষে ১৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে আদালত। ফুটেজ-২ (আদালতের নামের অংশ) জিএফএক্সএর লাল অংশ জুম হবে।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, শুধু বাবুল মিয়ায় নন; সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে নি:স্ব হচ্ছেন অনেকেই। পরিত্রান পেতে আইনের আওতায় আনতে হবে ব্যাংক, জয়েন্টস্টকসহ বিভিন্ন দফতরে ছড়িয়ে থাকা চক্রের প্রতিটি সদস্যকে।
ব্যাংক ও অর্থিক প্রতিষ্ঠান অসুস্থ প্রতিযোগীতা করে ঋণ দিতে গিয়ে নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করছে। আর এই সুযোগ নিচ্ছে প্রতারক চক্র। যার কুফল ভোগ করছে সাধারণ মানুষ।