চট্টগ্রামে মসলার দাম বেড়েছে কেজিতে ২শ’ থেকে ৪শ’ টাকা
- আপডেট সময় : ০১:৫৬:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩
- / ১৭৮৫ বার পড়া হয়েছে
দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে দুই সপ্তাহর ব্যবধানে সব ধরনের মশলার দাম বেড়েছে কেজিতে ২শ’ থেকে ৪শ’ টাকা। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও কতিপয় আমদানিকারকের সহায়তায় দালালরা সিন্ডিকেট করে, ডিও ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে অস্থির করছে বাজার। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এই সিন্ডিকেটই কদিন আগে তেল, চিনি, পেঁয়াজ ও আদার বাজারে কারসাজি করে। তবে অভিযুক্তদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতার প্রভাব পড়ছে খাতুনগঞ্জে।
দেশের অন্তত ৩৫ ভাগ মশলার বাজার নিয়ন্ত্রণ করে খাতুনগঞ্জের এই এজাজ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও আমদানীকারকরা। প্রতিটি দোকানের সামনে দালালদের হাঁক-ডাক; প্রকাশ্যে চলছে ডিও বেচাকেনা। পণ্য ভর্তি গুদামে। অথচ দৈনিক অন্তত ৫ হাত বদল হচ্ছে বিবরণ লেখা কাগজটি। প্রতিটি হাত বদলের সঙ্গে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা করে বাড়ছে মশলার দাম। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ডিও ব্যবসায়ী নামধারী এই সিন্ডিকেটই বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। কতিপয় আমদানীকারক ও বড় বড় কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তারা এদের সঙ্গে জড়িত।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, পণ্যের দাম বাড়লে বাজার নিয়ন্ত্রণের নামে কথিত অভিযানে প্রকৃতি ব্যবসায়ীদের হয়রানি ও জরিমানা করা হয়। কিন্তু চাল-চুলোহীন ডিও ব্যবসায়ী নামধারী দালাল ও আমদানীকারকদের সিন্ডিকেট থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
তবে ডিও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দেশের বাজারে চাহিদার সঙ্গে দামও বাড়ে।
দুই সপ্তাহ আগে, ১৪ শো টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া এলাস, এখন প্রকারভেদে ১৬ শো থেকে ১৯ শো ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৯ শো টাকার জিরা ১১ শো ৫০, দেড়শো টাকার হলুদ ১৮০ টাকা, ১৬০ টাকার ধনে ২১০ টাকা, ২৮০ টাকার শুকনো মরিচ ৪ শো টাকা, ১৯০ টাকার কালোজিরা বিক্রি হচ্ছে ২১৫ টাকায়। এভাবে সব ধরনের মশলার দামই বেড়েছে দুই সপ্তাহর ব্যবধানে।