চট্টগ্রামে ট্রলি ব্যাগে মানবদেহের ৮ টুকরো খন্ডিতাংশ উদ্ধারের পর এবার ধড় উদ্ধার
- আপডেট সময় : ০১:১৮:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১৭০০ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে ট্রলি ব্যাগ ভর্তি মানবদেহের ৮ টুকরো খন্ডিতাংশ উদ্ধারের পর ধড় উদ্ধার করেছে পিবিআই। তবে মাথা এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পিবিআই বলছে, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে নিহত হাসানের স্ত্রী ও দুই সন্তান মিলে হত্যার পর গুম করতেই মরদেহের টুকরো টুকরো করে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ফেলে দেয়া হয়। মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করতে গিয়েই চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস এই হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচিত হয় বলে জানিয়েছে পিবিআই।
বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর পতেঙ্গা ১২ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে ব্রিককেসের ভেতর মানবদেহের খন্ডিত অংশ পাওয়া যায়। হাত-পা মিলিয়ে ৮ টি টুকরো উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যার কোন সূত্র ছাড়াই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে মাঠে নামে পিবিআই। নিহতের মোহাম্মদ হাসান।
তদন্তের একপর্যায়ে দুটি সিসিটিভি ফুটেজ পিবিআইয়ের হাতে আসে। প্রথম চিত্রে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত তিনটায় নিহত ব্যক্তির ছোট সন্তান বস্তা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আসছে। অন্য আরেকটি ফুটেজে, ছোট সন্তান শফিকের বাসা থেকে তার মা সানোয়ারা সিএনজি অটো রিক্সায় করে চলে যায়। এই ফুটেজই খুলে দেয় হত্যাকাণ্ডের রহস্য।
শনিবার রাতে বাঁশখালী থেকে নিহত হাসানের স্ত্রী ও সন্তানকে গ্রেফতারের পর স্বীকারোক্তি নিয়ে আকমল আলী রোডের পকেট গেইটের খাল থেকে হাসানের মরদেহের গলা থেকে কোমরের অংশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পিবিআই।
পিবিআই জানায়, গত ২২ বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন নিহত হাসান। এক বছর আগে হঠাৎ ফিরে আসলে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ বাধে। স্ত্রী ও সন্তানদের সাথে দ্বন্দ্বের জেরে হাসানকে হত্যার পরিকল্পনা করে স্ত্রী-সন্তানরা। সেদিন কৌশলে হাসানকে ইপিজেড এলাকায় ছোট ছেলের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। মায়ের উপস্থিতিতে দুই ভাই মিলে বাবাকে হত্যার পর মরদেহ টুকরো টুকরো করে তারা তিনজন ।
হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত হাসানের স্ত্রী ও বড় সন্তানকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। পলাতক ছোট সন্তান ও তার স্ত্রীকে ধরতে অভিযান চলছে।