চট্টগ্রামে মেয়ে শিশুদের ওপর সহিংসতার ঘটনা বাড়ছে
- আপডেট সময় : ০৮:০৫:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ এপ্রিল ২০২৩
- / ১৬৩৮ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে মেয়ে শিশুদের ওপর সহিংসতার ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। চার মাসে অন্তত চারটি শিশু নৃশংস হত্যাকণ্ডের শিকার হয়েছে। এ সময়ে শিশুদের যৌন নিগ্রহ ও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ২৫ থেকে ৩০টি।
আইনজীবী ও সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, সামাজিক অসচেতনতা, ভিনদেশী সংস্কৃতির আগ্রাসন ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায়, শিশুদের ওপর সহিংসতা রোধ করা যাচ্ছে না। আর পুলিশ বলছে, শিশুদের ওপর এমন সহিংসতায় উদ্বিগ্ন তারা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সব ইউনিট সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
গেলো বছর নভেম্বরে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার একটি খাল থেকে উদ্ধার করা হয় শিশু আয়াতের ৬ টুকরো মরদেহ। মুক্তিপনের দাবিতে অপহরনের পর হত্যা করে লাশ গুম করতেই নৃশংস ঘটনা ঘটায় প্রতিবেশি আবির।
একই মাসে আকবর শাহ এলাকায় চিপচের প্রলোভন দেখিয়ে নির্জন এলাকায় নিয়ে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষন। জামালখানে ধর্ষনের পর বর্ষা নামের আরো এক শিশুকে হত্যা করা হয়। সবশেষ পাহাড়তলীতে বিড়াল ছানা কিনে দেয়ার লোভ দেখিয়ে, ধর্ষণের পর হত্যা করে শিশু আইনীর মরদেহ ফেলে দেয়া হয় ডোবায়। পরপর এমন ঘটনায় উদ্বিগ্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, ভিনদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসনের পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রয়োজনে অপরাধিদের পৃষ্টপোষকতার কারনে এই ধরনের নৃশংসতা থামানো যাচ্ছে না।
আর শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা আইনজীবীরা বলছেন, সামাজিক অবক্ষয়ের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আন্তরিকতার ঘাটতিও শিশু শহিংসতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী।
নারী-শিশু ধর্ষণ, হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় আদালতে মামলা হয়। কিন্তু বিচারের দৃষ্টান্ত নেই বললেই চলে। শিশুদের প্রতি নৃশংসতা বন্ধ না হওয়ার এটিও একটি কারণ বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।