চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর ভুল তথ্যের কারণে ব্যবস্থা নিতে দেরি : দাবি কর্তৃপক্ষের
- আপডেট সময় : ০৭:১৬:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২
- / ১৫৬৮ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর ভুল তথ্যের কারণে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেরি হয়েছে বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একাডেমিক ভবনে সংবাদ সম্মেলনে কর্তৃপক্ষ আরও দাবি করেন, যৌন নিপীড়ন সেলে জমা থাকা তিনটি অভিযোগের তদন্ত অনেক আগেই নিষ্পত্তি করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এক শিক্ষকসহ চার ছাত্রকে ১ বছরের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে। রাতে নির্দিষ্ট সময়ের পর ছাত্রীদের হলের বাইরে যেতে হলে, প্রশাসনের অগ্রিম অনুমতি নিতে হবে বলেও জানানো হয়।
১৭ জুলাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রী নিপিড়নের ঘটনায় আন্দোলনে ফুঁসছে শিক্ষার্থীরা। নিরাপদ ক্যাম্পাসের নিশ্চয়তা, যৌন সন্ত্রসীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি, পুরনো অভিযোগের নিস্পত্তিসহ চার দফা দাবি দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের এসব দাবির বিযয়ে প্রশাসনের অবস্থান তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি জটিল আকার ধারণ করার জন্য নিপীড়িত শিক্ষার্থীর ওপর দায় চাপান প্রক্টর।
করোনার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপিড়ন সেলে জমা পড়া তিনটি অভিযোগের তদন্ত শেষে এক শিক্ষকসহ চার ছাত্র’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান রেজিস্ট্রার।
১৭ জুলাইয়ের ঘটনার পর বহিরাগতদের প্রবেশে কড়াকড়ি, রাতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা ও নিরাপত্তাকর্মী বাড়ানোসহ সব শিক্ষার্থীর জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাসের নিশ্চয়তা দিতে নিজের আন্তরিকতার কথা জানান উপাচার্য।
নিপিড়ণের জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে বহিস্কারের পাশাপাশি হাটহাজারী কলেজের দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান অধ্যাপক ড. শিরিন আক্তার।