চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ ৭৬ শতাংশ শেষ
- আপডেট সময় : ০৫:১৩:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০২৩
- / ১৫৮৭ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ ৭৬ শতাংশ শেষ। এরই মধ্যে সুফল পেতে শুরু করেছে নগরবাসী। বৃষ্টি ছাড়াও অমাবশ্যা-পুর্ণিমার ভরা জোয়ারে ডুবে যাওয়া এলাকাগুলোয় এখন আর পানি ওঠে না। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সেনাবাহিনী বলছে, ভুমি অধিগ্রহণ ছাড়া কোন চ্যালেঞ্জ নেই। ঠিক সময়ে জমি পেলে, দ্রুত প্রকল্পের বকি কাজ শেষ করে, হস্তান্তর করা হবে। নগরবিদরা বলছেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের চেয়ে তা রক্ষণাবেক্ষন করাটা জরুরী।
বন্দর নগরীর চট্টগ্রামের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ এলাকা আগ্রাবাদের চিত্র এটি। বর্ষাকালে বৃষ্টি না হলেও জোয়ারের পানিতেই দিনে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা কোমর পানিতে তলিয়ে থাকতো এলাকাটি। কিন্তু এবার বদলে গেছে দৃশ্যপট। ফুটেজ-১
মহেশখালের মাথায় এই স্লুইচগেইটটি পাল্টে দিয়েছে পুরো এলাকার চিত্র। জোয়ারের পানি যেমন নগরে ঢুকতে পারছে না; জোয়ারের সময় বৃষ্টি হলে হাই প্রেসার পাম্প দিয়ে বের করে দেয়া হচ্ছে পানি। সংকুচিত হয়ে আসা খালও খনন করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে এনেছে সেনাবাহিনী। যার সুফল ভোগ করছে এলাকাবাসী। ফুটেজ-২
নগরীর ৫৭ টি খালের মধ্যে ৩৬টি খাল টার্গেট করে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নগরবিদরা বলছেন, সিডিএ’র পক্ষে এটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। কিন্তু তা রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব পারে সিটি কর্পোরেশন। আধুনিক প্রযুক্তির প্রকল্প রক্ষণাবেক্ষনে সব পক্ষের সমন্বয় জরুরী। ফুটেজ-৩
প্রকল্প পরিচালক বলছেন, ৩৬টি খালের মধ্যে ১১টি খালের বেশ কিছু পয়েন্টে ভুমি অধিগ্রহন নিয়ে জটিলতা রয়েছে। যত দ্রুত তা নিরসন হবে, প্রকল্প বাস্তবায়নও তত দ্রুত সম্পন্ন হবে।
নগরীর অধিকাংশ খাল জনবহুল এলাকায় হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ময়লা ফেলার প্রবণতা এখনো বন্ধ করতে পারেনি সিটি কর্পোরেশন। যা জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখছেন প্রকল্প পরিচালক। সেটাফ