চলে গেলেন কিংবদন্তি গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর
- আপডেট সময় : ০২:১৬:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১
- / ১৫৪৪ বার পড়া হয়েছে
অবশেষে হার মানতে হলো করোনার কাছে। পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেলেন কিংবদন্তি গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর। শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে রাজধানীর বেসরকারী একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সংগীতাঙ্গনের এই উজ্জল নক্ষত্র। এই শব্দ সৈনিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন। শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশের সংগীতাঙ্গনে। অনেকেই ফেসবুকে নানা বার্তায় শোক জানাচ্ছেন। সেসব শোক বার্তায় মিশে আছে ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা।
সখিনার প্রেমে অমর হয়ে থাকবেন ফকির আলমগীর। সংগীত ভুবনের এই ‘রিকশাচালককে আর দেখা যাবে না। প্রিয়তমাকে গ্রামে রেখে ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে শহরে আসা এক রিকশাওয়ালার হয়ে গাওয়া এই গান কালের স্রোতে সাক্ষী এখন।
তার দরাজ কণ্ঠ সব সময় সুরে ভেসেছে মানুষের জন্য, দেশের জন্য। মানবতার কথা, বঞ্চিত মানুষের অধিকারের কথা নিয়েই গানে গানে হাজির হতেন এ গণসংগীতশিল্পী। গানে গানে আজীবন অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন ফকির আলমগীর। তার এই বিশেষত্বই দেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে দিয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার জননেতা নেলসন ম্যান্ডেলা তার ঢাকা সফরে ভূয়সী প্রশংসা করে গেছেন তাঁকে নিয়ে লেখা গানের জন্য।
‘মায়ের এক ধার দুধের দাম’, দরাজ কণ্ঠের এ গানে প্রতিটি সন্তানের বুক কেঁপে ওঠে
সাংবাদিকতার ছাত্র সব সময় ভালো সম্পর্ক রাখতেন গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে। ৭১’ এ কাজ করেছেন স্বাধীন বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক হিসেবে। ১৯৬৯ সালে তিনি ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে গণ অভ্যুত্থানে যোগ দেন।
কৈশোর থেকেই ছিলেন প্রতিবাদী ফকির আলমগীরের জন্ম ফরিদপুর জেলার ভাঙা থানার কালামৃধা গ্রামে ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। আমৃত্যু বঞ্চিত মানুষের পক্ষে সোচ্চার ফকির আলমগীর মরেও আরেক ইতিহাসের সাক্ষী হলেন। মহামারী করোনা কেড়ে নিলো তার প্রাণ ভোমরা।
১৯৯৯ সালে একুশে পদকসহ দেশ-বিদেশে পেয়েছেন নানা সম্মান।