চসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর পদের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বাগে আনতে পারেনি দুইদল
- আপডেট সময় : ০১:৪২:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১
- / ১৫৩৯ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১০ মাসেও কাউন্সিলর পদের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বাগে আনতে পারেনি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে আওয়ামী লীগ বলছে, বিদ্রোহীদের দায়ভার নেবে না দল। আর বিএনপি বলছে, ১৪ জানুয়ারির মধ্যে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে, কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাচনের আগে বিষয়টির সুরাহা না হলে সংঘাতের আশংকা করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীক ও মনোনয়নে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়া শুরু হয় গত বছরের মার্চ মাস থেকে। মেয়র ও কাউন্সিলরের প্রতিটি পদেই প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের টিকিট পেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন নেতাকর্মীরা। দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষে সব পদে প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করে রাজনৈতিক দলগুলো। প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র পদের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও বেঁকে বসেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা। ফুটেজ-১
কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়ে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৪টিতেই বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে দলটির। যদিও এসব প্রার্থীকে বিদ্রোহী বা দলীয় না বলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন দলের নির্বাচন সমন্বয়ক।
ওদিকে, প্রধান বিরোধীদল হিসেবে পরিচিত বিএনপির বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী আছে ৫টি ওয়ার্ডে। দলটির সদস্য-সচিবের দাবি, একজন প্রার্থী এরই মধ্যে সরে দাঁড়িয়েছেন। দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে বাকিদেরও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময় পেরুলে নেয়া হবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধান দুই দলের মেয়র প্রার্থীরই ক্লিন ইমেজ আছে চট্টগ্রামে। দু’দফার প্রচারণায় এখনো বড় কোন সংঘাতের ঘটনাও ঘটেনি। কিন্তু সময়মতো কাউন্সিলর প্রার্থীদের দ্বন্দ্বের সমাধান করতে না পারলে সংঘাতের পাশাপাশি পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশংকা তাদের।
গত বছরের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও করোনার কারণে তা পিছিয়ে যায় ১০ মাসেরও বেশি। দীর্ঘ এই সময়ে বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারাকে দলগুলোর নেতৃত্বের ব্যর্থতা হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা।