চাঁদপুরে মৌসুমের শেষপ্রান্তে বোরো জমিতে ব্লাস্ট রোগ
- আপডেট সময় : ০৫:৪৪:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মে ২০২৩
- / ১৬৯১ বার পড়া হয়েছে
পুরোদমে বোরো ধান কাটা চলছে চাঁদপুরে। তবে সব কৃষকের মাঝে নেই আনন্দ। মৌসুমের শেষপ্রান্তে এসে, কিছু প্রজাতির আধা-পাকা ধান ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ায় দিশেহারা সংশ্লিষ্ট কৃষক। আক্রান্ত জমিতে ধানের চেয়ে চিটার পরিমাণ বেশি হচ্ছে। একারণে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কিত কৃষক।
তবে কৃষি বিভাগ বলছে, কিছু প্রজাতি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, অন্য প্রজাতির ফলন ভালো হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রভাব ফেলবে না। আগামী মৌসুমে ভিন্ন জাতের ধানবীজ চাষে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করা হবে। চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী এলাকার কৃষক আসলাম খান। ১ একর জমিতে চাষ করা ধানের ফলন দেখে আশা করেছিলেন এবার ৫০ মন ধান পাবেন। কিন্তু শেষ মূহুর্তে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ধান উঠেছে মাত্র ১৫ মন। তার মতো চাঁদপুরের অনেক কৃষকেরই এমন অবস্থা।
চলতি বছর চাঁদপুরে বোরো মৌসুমে ধানের আবাদ হয়েছে ২৫ জাতের। কিছু কিছু উন্নত বীজে ফলন ভালো হলেও, ব্রি-২৮ ও ২৯ জাতের বীজ শেষ মূহুর্তে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়।প্রতিটি জমির দুই তৃতীয়াংশ ধান চিটা হয়েছে বলে দাবি কৃষকের।
জেলায় এবার ৬৩ হাজার ১৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো’র আবাদ হয়েছে। যার মধ্যে ব্রি ধান-২৮ রয়েছে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে। আর ব্রি-২৯ চাষ ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে। যা মোট চাষাবাদের ৪০ শতাংশ। তবে ব্রি-২৮ জাত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বলে জানান কৃষক।
হতাশা নিয়েই গো-খাদ্যের আশায় আধা-পাকা ধান কাটা শুরু করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক। সরকারের কাছে কৃষি প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন তারা। আগামী মৌসুমে উন্নত জাতের উচ্চ ফলনশীল ধান চাষে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করা হবে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা।
এবার জেলায় বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ লক্ষ ৪৬ হাজার ৪২১ মেট্রিক টন। কয়েকটি জাতে সমস্যা হলেও উফশী জাত ব্রি-৫৮, ৬৭, ৬৯, ৮৯ এবং ব্রি-ধান ৯২ জাতের ফলন ভাল হওয়ায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় তেমন প্রভাব পড়বে না বলে দাবি কৃষি অধিদপ্তরের।