চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চালু হয়েছে ‘ত্রাণ যাবে বাড়ি’
- আপডেট সময় : ০৬:৫২:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল ২০২০
- / ১৬৭৭ বার পড়া হয়েছে
নিজ নিজ ঘরে থাকুন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করুন’ এই স্লোগানে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চালু হয়েছে ‘ত্রাণ যাবে বাড়ি’। কর্মহীন ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের বাড়ি থেকে হট লাইন নম্বরে কল করলেই ত্রাণ পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। এদিকে, কিশোরগঞ্জে করোনা মোকাবিলায় সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে ৫ হাজার দরিদ্র পরিবারে খাদ্য সামগ্রি পৌঁছে দিতে ব্যতিক্রমি উদ্যোগ নিয়েছেন এক জনপ্রতিনিধি। খোলা মাঠে খাদ্য সামগ্রির প্যাকেট আলাদা করে নেতাকর্মিদের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন ইউনিয়নে।
করোনা সংক্রামন রোধে অঘোষিত লকডাউনে বিপাকে পড়েছৈ দরিদ্ররা। শ্রমজীবী দরিদ্রদের সাহায্যে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ এগিয়ে এসেছে। হত দরিদ্রদের মাঝে প্রকাশ্যে বিতরণ করা হচ্ছে ত্রাণ। কিন্তু নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ লোকলজ্জার ভয়ে এসব ত্রাণ সামগ্রী পায় না, এমনি কি নিতেও পারে না। এ কারণে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন চালু করেছে হট লাইন নাম্বার। ২টি নাম্বার ছেড়ে দেয়া হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আহবান করা হয় যাদের ত্রাণ সহায়তা লাগবে, তারা যেনো কল দিয়ে জানায়।
যতোদিন প্রয়োজন সরকারি এ সাহায্য প্রদান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
করোনা পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ন্যায্য মূল্যে সততা স্টোর, ৩টি হোটেলে ৩শ’ গরীব ও কর্মহীন মানুষের জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
করোনা মোকাবিলায় কিশোরগঞ্জে অঘোষিত লকডাউনে বাড়ছে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা। এ অবস্থায় সরকারি-বেসরকারি ত্রান বিতরণে ঢল নামছে অভাবী মানুষের। এ অবস্থায় মানুষকে সমবেত না করে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৫ হাজার পরিবারে খাদ্য সামগ্রি পৌছে দেয়ার ব্যাতিক্রমি উদ্যোগে নিয়েছেন, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের এমপি মো.আফজাল হোসেন।
ব্যাক্তিগত উদ্যোগ হলেও নিকলী-বাজিতপুরে যতদিন প্রয়োজন-এমন খাদ্য সহায়তা চালিয়ে যাবেন বলে জানান, সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন।
বাজিতপুরে দুই হাজার দুইশ’ ও নিকলীতে এক হাজার ৮শ’ পরিবারে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, তিন কেজি আলু, এক কেজি পেঁয়াজ, আধা লিটার তেল ও একটি সাবান দেয়া হচ্ছে।