বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে দাফন করা হয়েছে নোয়াখালীর বসুরহাটের মানিকপুরের পারিবারিক করবস্থানে।

দুপুরে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয় তার মরদেহ। কোম্পানীগঞ্জের কবিরহাট কলেজ মাঠে প্রথম জানাযা শেষে নিয়ে যাওয়া হয় বসুরহাট সরকারী মুজিব কলেজে। সেখান দ্বিতীয়দফা জানাজা সম্পন্ন হয়। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদকে একনজর দেখতে জড়ো হন লাখো মানুষ। রাজনীতিক, আইনজীবী এবং অভিভাবক মওদুদের মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হলো বলে মন্তব্য স্থানীয় রাজনীতিবিদদের। এদিকে, বসুরহাট বাজারে কালো পতাকা উত্তোলন করে চলছে মওদুদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের দ্বিতীয় দিন। বসুরহাট মেয়র ঘোষিত এই কর্মসূচি চলবে কাল শনিবার পর্যন্ত। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন ৮১ বছর বয়সী এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ। বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় আনা হয় ব্যারিস্টার মওদুদের মরদেহ।

এর আগে সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ।পরে তার কর্মস্থল সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ ও নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে দুদফা জানাজা সম্পন্ন হয়। ব্যারিস্টার মওদুদের মৃত্যুতে যে শূণ্যতা তৈরি হয়েছে তা পূরণের নয় বলে মন্তব্য করেন সহকর্মী ও সতীর্থরা।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের ঢল নামে।বেলা পৌনে ১১টার দিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে দ্বিতীয় জানাযায় অংশ নিয়ে শীর্ষনেতারা এই নেতার শূণ্যতার কথা তুলে ধরেন।এর আগে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এই সংগঠকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় সুপ্রীমকোর্ট প্রাঙ্গণে। ৫০ বছরেরও বেশি সময় মওদুদ আহমদ আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। কথা বলতে গিয়ে সহকর্মীরা ফিরে গেলেন অতীতে। বর্ণ্যাঢ্য এবং কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করলেন অনেকেই ।

সকাল ৯ টার পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী মওদুদ আহমদের মরদেহ। শ্রদ্ধা জানান দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ।
সুশীল সমাজ ও রাজনীতিবিদরা শ্রদ্ধা জানানোর সময় মওদুদের মতো গুণী মানুষের অভাব অনুভব করেন।বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হেলিকপ্টারে করে খ্যাতিমান এই রাজনীতিবিদের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় নোয়াখালীতে।
কবিরহাট সরকারী কলেজ মাঠ, বসুরহাট মুজিব সরকারী মহাবিদ্যালয় মাঠ ও বাদ আছর নিজ গ্রাম মানিকপুরে শেষ জানাযায় অংশ নেন এলাকাবাসী ও পরিবার-পরিজন। পরে পারিবারিক কবরস্থানে শেষ নিদ্রায় শায়িত হন দেশবরেণ্য রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট এই আইনজীবী