চীন থেকে গেল ১৫ দিনে কোন জাহাজ না আসায় অর্থনীতে বড় ধরণের প্রভাব পড়ার আশংকা
- আপডেট সময় : ০৭:৩৯:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০
- / ১৫৫৮ বার পড়া হয়েছে
চীনে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের আমদানী রপ্তানী বাণিজ্যে। চীন থেকে প্রতি তিন দিনে গড়ে দুটি পণ্যভর্তি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এলেও, গেল ১৫ দিনে কোন জাহাজ আসেনি। এতে কাঁচামাল সংকটে রপ্তানী বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি আমদানী পণ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এতে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির হয়ে ওঠার আশংকা করছেন ব্যবসায়ী নেতারা। আর বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, চীনের জাহাজ ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও, কয়েক ধাপে পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে পণ্য ও নাবিকদের।
দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানী পণ্যের নাম তৈরী পোষাক। চীনের বাজারে তার তেমন প্রভাব না থাকলেও, এ শিল্পের কাঁচামালের ৯০ শতাংশই আসে চীন থেকে। তাই বলাই যায় এই দেশটির ওপরই প্রায় পুরোপুরি নির্ভরশীল বাংলাদেশের আরএমজি সেক্টর। এছাড়াও আসবাব খাতের স্ক্রু ড্রাইভার থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি প্রকল্পের যন্ত্রপাতি, বাণিজ্যির পণ্য এমনকি দক্ষ জনশক্তি পর্যন্ত চীনের ওপর নির্ভর করতে হয় বাংলাদেশকে।
সম্প্রতি দেশটিকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের ফলে এসব পণ্যের বুকিং প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এতে সংকটে পড়েছে দেশের আমদানী রপ্তানী বাণিজ্য। শুধু শিল্প কল কারখানা নয়, খাদ্যপণ্যের বড় একটি অংশও আসে চীন থেকে। বেশীরভাগ ক্যাটাগরীর বাণিজ্যিক পণ্যের জন্য শুধু একটি দেশের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় এই অবস্থান তৈরী হয়েছে। তাই বিকল্প বাজার খুজতে উদ্যোগী হতে সরকারের সহযোগীতা চায় চট্টগ্রাম চেম্বার।মাসে অন্তত ২০ টি করে জাহাজ চীন থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। কিন্তু গত ১৫ দিনে একটি জাহাজও আসেনি। বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুর হয়ে একটি চীনা জাহাজ চট্টগ্রামের উদ্যেশ্যে রওনা হয়েছে। জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় পৌছনোর সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করার প্রস্তুতি নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি দীর্ঘ হলে, বাংলাদেশের অর্থনীতে বড় ধরণের প্রভাব পড়ার আশংকা রয়েছে।