চুঁই চাষে সফল যশোরের বেকার তরুণ সবুজ
- আপডেট সময় : ০২:১৩:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০২৩
- / ১৭৩১ বার পড়া হয়েছে
চুঁই চাষে সফল যশোরের বেকার তরুণ সবুজ। জেলার মনিরামপুরে মুন্সি খানপুরের ৫টি গ্রামে ৪শ’ বিঘার বাগানে ৩০ হাজার চুঁই গাছের চারা রোপন করেছেন জনৈক তরুণ। গড়ে উঠেছে“খানপুর চুইঝাল প্রজেক্ট। আনুমানিক ৬০ লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন এ প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত ৭শ’ তরুণ।
চুঁই ঝাল। খুলনা বিভাগের জনপ্রিয় একটি মসলা। গরুর মাংস রান্নায় বেশি ব্যবহার হয়। এই চুঁই ঝালের চাষ হচ্ছে মনিরামপুরের খানপুর ইউনিয়নের ৫টি গ্রামে। মৌসুমী ফলের সঙ্গে চাষ হচ্ছে পরগাছা এই গুল্ম উদ্ভিদের।
২০২০ সালে করোনার সময়ে মানুষ কাজ হারিয়ে যখন ঘরবন্দী। তখন এই মসলার চাষে উদ্যোগী হন স্নাতকোত্তর ডিগ্রী ধারী মাসুদুর রহমান সবুজ। সঙ্গে আরো ৪ গ্রামের কর্মহীন ৭শ তরুণকে সঙ্গে নিয়ে গড়ে তুলেন “খানপুর চুইঝাল প্রজেক্ট”। বাগান মালিকরা মোট আয়ের ৩০ শতাংশ বুঝে পাবেন এই চুক্তিতে স্থানীয় ৪ বিঘার বাগানে চুঁই চারা রোপন করেন।
বাগানের আম, জাম, কাঁঠাল, নারকেল, মেহগনি গাছ বেয়ে বেড়ে উঠেছে লতাজাতীয় চুঁই গাছ। বছর ঘুরলে প্রতিগাছ সমেত আনুমানিক ৬০ লাখ টাকার চুঁই সংগ্রহের আশা করছেন।
বাড়তি আয়ে খুশি বাগান মালিকরাও। খুব শিগগির খানপুর ও শ্যামকুড় ইউনিয়নের আরো ৩ গ্রামে তেঘরি, ধলিগাতি ও গোবিন্দপুরের আরো কমপক্ষে ৩শ’ বিঘার বাগানে ২৫ হাজার গাছ রোপণের কাজ চলছে।
বেকার যুবকদের চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রজেক্টের উদ্যোক্তারা বলেন, সমবায় ভিত্তিতে সরকারি পড়ে থাকা সম্পত্তি কাজে লাগিয়েও অনেক কিছু করা সম্ভব।
এই মসলা আয়রন ও মিনারেল সমৃদ্ধ এবং নানা রোগের মহাষৌধ চুঁই চাষের বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় কৃষকরা এ চাষে ঝুঁকছেন।
প্রজেক্টের চুই বিক্রিলব্ধ অর্থের ৩০ ভাগ বাগান মালিক, ৩০ ভাগ প্রজেক্টের সাথে জড়িতরা, ৩০ ভাগ মূল উদ্যোক্তা ও বাকি ১০ ভাগ অর্থ এলাকার সমাজ সেবা কাজে ব্যয় করা হবে।