ছত্রাকের আক্রমণে দিশেহারা মেহেরপুরের পেঁয়াজ চাষিরা
- আপডেট সময় : ০৪:৩৬:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ১৬৫২ বার পড়া হয়েছে
ছত্রাকের আক্রমণে দিশেহারা মেহেরপুরের পেঁয়াজ চাষিরা। ছড়িয়ে পড়ছে এক জমি থেকে আরেক জমিতে। বিভিন্ন ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করেও মিলছে না প্রতিকার। এতে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কায় কৃষক। কৃষি বিভাগ বলছে, এটি পারপাস ব্লাস জনিত রোগ। অন্তঃত ৫ দিন পর পর পেঁয়াজ ক্ষেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগের পরামর্শ তাদের।
মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের ষাটউর্ধ্ব বয়সি কৃষক মিয়ারুল শেখ। এবার ৪ বিঘা জমিতে ভারতীয় সুখসাগর পেঁয়াজের আবাদ করেছিলেন। এর আগে পেঁয়াজের জমিতে এমন রোগ কখনই দেখেননি তিনি। প্রথমে ডগা শুকিয়ে যাচ্ছে, পরে আক্রান্ত হচ্ছে পুরো গাছ।
শুধু শিবপুর নয়– মেহেরপুরের ভবানিপুর, বিশ্বনাথপুর, আনন্দবাস, টেংরামারীসহ জেলার বিভিন্ন গ্রামে মাঠের পর মাঠের পেঁয়াজ ক্ষেত আক্রান্ত হচ্ছে ছত্রাকে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর ঘন কুয়াশার পর থেকে পেঁয়াজের ক্ষেতে ছত্রাকের আক্রমণ দেখা দেয়। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারের নামি দামি কোম্পানির ছত্রাক নাশক প্রয়োগেও মিলছে না সুফল।
সুখসাগর জাতের পেঁয়াজ থেকে আগে প্রতি বিঘা জমিতে ১৮০ থেকে ২০০ মণ ফলন পেতো কৃষক। চলতি মৌসূমে এ রোগের কারণে তা ১০০ মণের নিচে নেমে আসবে বলে আশঙ্কা তাদের। ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়েও রয়েছে শঙ্কা।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মৌসূমে জেলায় পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। যা থেকে ৯৪ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
ছত্রাকের এই আক্রমণ ঠেকাতে প্রতি বিঘা জমিতে ৫ কেজি পটাশ সার ও ছত্রাক নাশক প্রয়োগের পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা।