ছাত্রদলের প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের সাথে তুমুল সংঘর্ষ
- আপডেট সময় : ০৬:৫৭:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ১৫৩৮ বার পড়া হয়েছে
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্রদলের প্রতিবাদ সমাবেশে লাঠিপেটা ও গুলি চালিয়েছে পুলিশ। সকাল ১১ টার দিকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে এলে,তাদেরকে বাধা দেয় পুলিশ। এসময় দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।এতে পুলিশ ও ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আর পুলিশে হাতে আটক হয়েছেন আরো কয়েকজন।পূর্ব অনুমতি না থাকায় ছাত্রদলকে সমাবেশ করতে দেয়া হয়নি বলে জানান ডিএমপির রমনা বিভাগের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান। এদিকে, প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা দেয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপি নেতারা।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় কারাবন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু ও জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্রদলের প্রতিবাদ সমাবেশে এভাবেই বাধা দেয় পুলিশ।
পুলিশী বাধা উপেক্ষা করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সামনের সড়কে যেতে চাইলে পুলিশ লাঠিপেটা চালায়।
এসময় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
পরে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে ধাওয়া দিলে পুলিশও পিছু হটে যায়।
এরপরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থল দখলে নেয়। পুলিশ প্রস্তুতি নিয়ে আবারও ধাওয়া দিয়ে লাঠিপেটা ও ফাঁকা গুলি চালায় পুলিশ। এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে মিনিট বিশেক। এসময় আহত হন বিএনপির যুগ্মমহাসচিব হাবিবুন্নবী খান সোহেল বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীরা।
বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীদের খোঁজে প্রেসক্লাবসহ আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। আহতরা চিকিৎসা নিতে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে গেলে। সেখান থেকে ছাত্রদলের ৭ জনকে আটক করা হয়।
এসময় ডিএমপির রমনা বিভাগের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান জানান, সমাবেশের অনুমতি ছাত্রদলের ছিলো না। এ কারণেই তাদের বাধা দেয়া হয়।
প্রেসক্লাবের এক আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ছাত্রদলের সমাবেশে পুলিশের হামলার প্রতিবাদ জানান।
এদিকে, বিকেলে গুলশানে চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, লেখক মুস্তাকের মৃত্যুর ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান।
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে অংশ না নেয়ার বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানান মহাসচিব।