ছুটি বাড়ায়নি চট্টগ্রামের গার্মেন্ট মালিকরা
- আপডেট সময় : ১২:৪৮:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫৪৪ বার পড়া হয়েছে
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকার বিশেষ সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়ালেও ছুটি বাড়ায়নি চট্টগ্রামের গার্মেন্ট মালিকরা। তাই স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে সামাজিক দুরত্বের বাধ্যবাধকতা ভুলে ভোর থেকে চট্টগ্রাম ইপিজেডে মিছিলের মতো ঢুকতে শুরু করেছে পোষাক শ্রমিকরা। তাদের দাবি, চাকরি বাঁচাতেই জীবণের ঝুঁকি নিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। আর সিভিল সার্জন বলছেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কোনভাবেই লোকসমাগমকে সমর্থন করে না স্বাস্থ্য বিভাগ।
সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও তৎপর রয়েছে নগরজুড়ে।
ঠিক সেই মুহুর্তে চট্টগ্রাম ইপিজেডের চিত্র সম্পুর্ণ আলাদা। স্বাভাবিক দিনের মতোই মানুষের ঢল নেমেছে সেখানে। এদের সবাই তৈরী পোষাক কারখানার শ্রমিক। করোনা আতঙ্কে সপ্তা খানেক বন্ধ থাকলেও শনিবার প্রত্যেক শ্রমিককে ফোনে তাগিদ দেয়া হয়েছে; কাজে না এলে চাকরি থাকবে না। আর তাই রাস্তায় যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটে কেউ বেশি টাকা দিয়ে পণ্যবাহী যানবাহনে গাদাগাদি করে এসেছে কর্মস্থলে।
চাকরি বাঁচাতে কাজে আসতে বাধ্য হলেও সবার চোখে ছিলো আতঙ্ক আর মুখে ছিলো ক্ষোভ।
মরণব্যাধী এই ভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত মাধ্যম হচ্ছে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা। এই মুহুর্তে গার্মেন্ট খোলার সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতী হিসেবেই মনে করেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন।
গার্মেন্ট মালিকদের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ মানবাধিকার কর্মীরা। তাদের দাবি দ্রুত পোশাক কারখানা বন্ধ করার ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে সরকারকে।
এব্যাপারে বিজিএমইএ’র দায়িত্বশীল কোন নেতা কথা বলতে রাজি হননি। তবে সংগঠনটির সভাপতি কারখানা বন্ধ রাখতে গার্মেন্ট মালিকদের প্রতি আহবান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। কিন্তু এই বিবৃতিকে দায় এড়ানোর চেষ্টা হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।