ছেঁউড়িয়ার লালন আখড়ায় জমে উঠেছে দোল পুর্ণিমা উৎসব
- আপডেট সময় : ০৫:৫৫:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩
- / ১৬৮৩ বার পড়া হয়েছে
বাউল সম্রাট লালন শাহ স্মরণোৎসব উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার লালন আখড়ায় জমে উঠেছে দোল পুর্ণিমা উৎসব। গুরু-শিষ্য পরম্পরায় চলছে ভাব বিনিময়। লালন সাঁইর জীবদ্দশার মত এখন আর সাধু সংঘ হয় না। তাই সাধু সংঘের জন্য চাই পৃথক জায়গা। দর্শনার্থী, অতিথিদের জন্য প্রয়োজন আবাসন ব্যবস্থা।
জিন্দা হয়ে মরার মত জীবন আমার, এমন বাণীতে সমর্পণ হয়ে সাদা পোশাকে, হাত-চোখ বাঁধা স্বস্ত্রীক খেলাফত নিলেন এই বাউল গুরু। আর ফিরবেন না ঘরে। আঁখড়ার আঙ্গিনাই এখন তাদের ঠিকানা। মানবতার সাধক লালন সাঁইয়ের এটাই মুল দর্শন। একে ধারণ করতে হলে আমজনতার সমাগমে নয়। নিরিবিলি, নিরব, নির্মল পরিবেশ চাই। তবেই লালনের দর্শন মানুষের মাঝে আরও ছড়িয়ে পড়বে। আর্বিভাব ঘটবে আলোকিত মানুষের। এমন প্রত্যাশা উৎসবে আসা বাউল সাধু-গুরুদের।
কার্তিকে তিরোধান দিবস আর চৈত্রে দোলপুর্ণিমা উৎসব। দুই উৎসবেই সমাগম ঘটে হাজার হাজার মানুষের। কিন্তু বিপত্তিতে পড়তে হয় থাকা-খাওয়ার জন্য। তাই বাউল-সাধুদের পৃথক ব্যবস্থার পাশাপাশি দর্শনার্থীদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থার দাবী দর্শনার্থীদের।
রবীন্দ্রনাথ, নজরুল লালন দ্বারা প্রভাবিত। তাই লালন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়াটা অত্যান্ত প্রাসঙ্গিক বলে মনে করেন এই গবেষক।
তিনদিনের উৎসব ঘিরে সাধন-ভজনে জমে উঠেছে লালন আখড়া। উদ্ধোধন করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। প্রতিদিন আলোচনা সভা শেষে রাতভর চলে লালনগীতির আসর।