জটিল সব শর্তের কারণে বৈধপথে বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারছেন না বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা
- আপডেট সময় : ০১:৫০:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১
- / ১৫৪৩ বার পড়া হয়েছে
জটিল সব শর্তের কারণে বৈধপথে বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারছেন না বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা। এতে মানিলন্ডারিংয়ের মতো অবৈধ পন্থা অবলম্বন করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। তাই এবারের বাজেটে বিদেশে বিনিয়োগের সুবিধা সহজীকরণ চান ব্যবসায়ীরা। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বৈধপথে যারা এ পর্যন্ত বিদেশে বিনিয়োগ করেছেন, তারা সময়মতো লভ্যাংশ ফেরত না আনায় আস্থার সংকটে ভুগছে সরকার।
দেশে প্রতিবছই বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। অপরদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন, ওষুধ ও তৈরী পোশাকের মতো বেশকিছু শিল্পে আন্তর্জাতিক মানের উদ্যোক্তাও তৈরী হয়েছে বাংলাদেশে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও সম্ভাবনাময় এই শিল্প খাতগুলোতে বিনিয়োগের সুযোগ উন্মুক্ত। কিন্তু বৈধ পথে সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারছেন না বেশিরভাগ বাংলাদেশী উদ্যোক্তারা। কারণ বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে বিদেশে বিনিয়োগের অনুমতি দিতে এখনো অনেকটাই রক্ষণশীল বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, বৈধ পথে বিদেশে বিনিয়োগের এই প্রক্রিয়াটি জটিল হওয়ায় অনেকেই অবৈধ পথের আশ্রয় নিচ্ছেন। এতে একদিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেমন দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের বেশকিছু খাতে বিদেশীদের বিনিয়োগের সুযোগ উন্মুক্ত। লাভের পুরো অর্থ ডলার আকারে নিজ দেশেও নিতে নেই কোনো বাধা। পাশাপাশি বাংলাদেশীদের বিদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আইনগতভাবে বড় কোন জটিলতা না থাকলেও নির্দিষ্ট অংকের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা বাইরে নেবার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আছে বাংলাদেশ ব্যংকের।
বিদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ২০১৩ সাল থেকে ধীরে ধীরে উদার হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গেল ৮ বছরে যাচাই-বাছাইয়ের পর লাভের অর্থ দেশে আনার শর্তে ১০টি প্রতিষ্ঠানকে বিদেশে বিনিয়োগের অনুমতি দিয়েছে রপ্তানী প্রত্যাবাসন কোটা- ইআরকিউ। কিন্তু পুনর্বিনিয়োগের ফলে প্রত্যাশিত লভ্যাংশ এখনো দেশে না আসায় ধীরে চলছে সরকার।
করোনার কারণে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে মন্দা, প্রবাসী আয় কমার শংকা এবং রপ্তানী আয়ের শ্লথগতিতে বাড়তি চাপে আছে জাতীয় অর্থনীতি। আবার ডলারের মজুদও বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নিতে দূরদর্শী হবার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।