জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচলে সরকারকে একগুচ্ছ প্রস্তাব দেবে ব্যবসায়ীরা
- আপডেট সময় : ০১:৫৫:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ অগাস্ট ২০২২
- / ১৫৫৯ বার পড়া হয়েছে
রপ্তানী কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে আগের দামে তেল কেনা, পরিকল্পিত লোডশেডিং ও জোন অনুযায়ী সাপ্তাহিক ছুটি নির্ধারণসহ সরকারের কাছে একগুচ্ছ প্রস্তাব দেবে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো। নেতৃত্ব দেবে এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএ। ইতোমধ্যে নিজেরা কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ডলারের যোগান বাড়ানোসহ জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে, রপ্তানীমুখী শিল্প, কৃষি আর রেমিটেন্সের প্রবাহকে বাড়তি সুবিধা দিতেই হবে। নইলে অর্থনৈতিক বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হবে না।
অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে গেলো অর্থবছরে রপ্তানী লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে বাংলাদেশ। যার সিংহভাগের অবদান তৈরী পোষাক শিল্পের। চলতি বছরের শুরুতে যুদ্ধের কারনে অর্ডারে কিছুটা ভাটা এলেও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের এখনো বড় উৎস গার্মেন্ট শিল্প।
যুদ্ধের অস্থিরতার নতুন সংকট লোডশেডিং। আর সবশেষ জ্বালানী তেলের দাম বাড়ানো।
এতে করোনার পর আশার আলো জাগানো খাতটি ফের হুমকির মুখে পড়েছে।
উদ্যোক্তরা বলছেন, লোডশেডিং আর জ্বালানী তেলের মুল্যবৃদ্ধিতে শুধু এনার্জি খাতে ব্যায় বেড়েছে ৭০ শতাংশের বেশি।
যা সামগ্রিক উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, এই বাস্তবতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে একগুচ্ছ প্রস্তাবনা তৈরী করছেন তারা।
যাতে রপ্তানীর পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদন ও রেমিটেন্সের প্রবাহকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
করোনার পর যুদ্ধের প্রভাবে বিপর্যস্ত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের সঙ্গে তাল মেলাতে আমদানী নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে ব্যয় কমাতে নানামুখি পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। কিন্তু সমন্ময়হীনতার কারণে তার সফলতা দৃশ্যমান হয়নি এখনো; এমনটাই মনে করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।