জাতীয় কবি কাজী নজরুলের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- আপডেট সময় : ০২:৪২:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫৪৭ বার পড়া হয়েছে
প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি। যার কবিতা ও গান উদ্বুদ্ধ করেছে,শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে । মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। তিনি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল।তিনি আমাদের জাতীয় কবি। অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ এই কবির ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন কবির সমাধিতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ সকাল থেকেই বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যানারে শ্রদ্ধা জানানো হয় ।
বাংলা কবিতায় নজরুলের আবির্ভাব একেবারেই ধূমকেতুর মতো।
পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামের দুখুমিয়ার শৈশব তেমন সুখকর ছিলোনা । মাত্র ৮ বছর বয়সে পিতৃহারা। বাধ্য হয়ে কাজ করতে হয় রুটির দোকানে ।
দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত হয়েও অন্যায়ের সাথে আপস করেননি নজরুল। মানবতার মুক্তির পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, কুসংস্কারের বিরুদ্ধেও ছিলেন সোচ্চার।লিখেছেন, :গাহি সাম্যের গান,যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান,যেখানে মিশছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম-ক্রীশ্চান।:
১৯২১ সালের নজরুল :বিদ্রোহী’ ও ‘ভাঙ্গার গান নামে দুটি বৈপ্লবিক সাহিত্যকর্মের সৃষ্টি করেন। ১৯২২ সালে তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ অগ্নিবীণা প্রকাশিত হয়। এই কাব্যগ্রন্থের প্রতিটি কবিতাই বাংলা কাব্যে নতুন বাঁক সৃষ্টি করে।
রাগনির্ভর গানকে ভেঙেচুরে সাধারণের কাছে সহজবোধ্য ও শ্রুতিমধুর করেছেন। প্রায় তিন হাজার গান রচনা ও সুর করেছেন। এক রাগের সঙ্গে অন্য রাগের মিলন ঘটিয়ে সংগীতে সৃষ্টি করেছেন নতুন ধারার ।
ছোটগল্প, উপন্যাস, গান, নাটক লিখলেও মূলত কবি হিসেবেই তিনি বেশি পরিচিত।
মহান মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে স্বপরিবারে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে তাকে দেয়া হয় জাতীয় কবির মর্যাদা।
বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কাজী নজরুলকে ডিলিট উপাধিতে ভূষিত করে। একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁকে দেওয়া হয় একুশে পদক। ৭৭ বছর বয়সে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জাতীয় কবি। কবির ইচ্ছামতো দাফন করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে ।