ঝিনাইদহ-পাবনা-ময়মনসিংহে নির্বাচনী সহিংসতা : আহত ১০
- আপডেট সময় : ০৫:৪৫:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২১
- / ১৫৮১ বার পড়া হয়েছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত চেয়ারম্যান প্রার্থী এরশাদুল হক ঢাকায় আনার পথে মারা গেছেন। ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষে ৭টি মোটর সাইকেলে আগুন ও বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, শুক্রবার রাতে ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামের বাজার এলাকায় ওয়াজ মাহফিলে মাহফিলে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে উপস্থিত সকলের নিকট দোয়া চান এরশাদুল। সেখান থেকে ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা গুলি ছুড়লে সামনে চালকের আসনে বসা বাদল প্রথমে গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে এরশাদকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরবর্তীতে গুলিবিদ্ধ এরশাদকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসক তাকে ঢাকায় পাঠান। ঢাকায় পৌঁছার আগেই রাস্তায় এরশাদুল মারা যান।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র ও নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ৭টি মোটর সাইকেলে আগুন ও বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। আহত হয় অন্তত ১০ জন।
স্থানীয়রা জানায়, গেল রাত ৮ টায়ে সারুটিয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকারকায়সার টিপুর সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারনা শেষে কাতলাগাড়ী বাজারে ফিরছিলেন। এ সময় নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম এর সমর্থকরা তাদের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা ৭ টি মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আহত হয় অন্তত ১০ জন।
ঘটনার প্রতিবাদে পাল্টা হামলা চালায় টিপুর সমর্থকরা। বেশ কয়েকটি বাড়িতে চলে পাল্টা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ময়মনসিংহের তারাকান্দার রামপুর ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এমরান হোসেন আকন্দ তার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর, কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন এবং মানববন্ধন করেছে।
পাবনার হেমায়েতপুরে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলামের তিনটি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।