টাঙ্গাইলের মধুপুর অঞ্চলের আদিবাসী নারীদের জীবন-যাত্রার ইতিহাস

- আপডেট সময় : ১০:৪৭:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ মার্চ ২০২০
- / ১৫৭০ বার পড়া হয়েছে
পাহাড়ী লাল মাটি সৃষ্টির ইতিহাসের মতোই টাঙ্গাইলের মধুপুর অঞ্চলের আদিবাসী নারীদের জীবন-যাত্রার ইতিহাস। তারা মাতৃতান্ত্রিক সমাজবদ্ধভাবে বসবাস করেন। রীতি মতে, ভূমির অধিকার যেমন নারীর, তেমনি পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্বও তার। এরপরও তাদের প্রতিদিনকার জীবন বঞ্চনার। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ নারীই জানেন না, নারী দিবস ও এর তাৎপর্য। স্বাধীনতার পাঁচ দশকেও তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি।
টাঙ্গাইলের মধুপুরে ২০ হাজার ২৭ জন আদিবাসী মানুষ বাস করেন। তার মধ্যে ১০ হাজার ৩’শ ৪০ জন পুরুষ এবং ৯ হাজার ৬’শ ৮৭ জন নারী। মাতৃতান্ত্রিক অধিকারে সংসারের কর্তা হলেও অন্য দশটি নারীর মতোই ঘরের গৃহস্থালী কাজকর্মও তাকেই করতে হয়। গৃহস্থালীর কাজ শেষ করে বেরুতে হয় জীবিকার সন্ধানে।
বেশিরভাগ নারীই শ্রম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। পুরুষের সম পরিমান কাজ করেও, পাচ্ছেন না সমান পারিশ্রমিক। পুরুষের মজুরী বেশি হওয়ায় ক্ষোভ তাদের।
পৃথিবী আলোকিত হলেও নারীর সম্মানের জায়গাটুকু থেকে যাচ্ছে অন্ধকারে। পরিবারের কর্তা হলেও এই সময় তাদের পুরুষ সদস্য আড্ডায় অলস সময় পাড় করলেও নারীর ক্ষেত্রে নেই অবসর। আদিবাসী নারীদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে কাজ করছে বিভিন্ন এনজিও। মজুররী ন্যায্য পাওনা নিয়ে কেউ অভিযোগ করলে, আইনী প্রক্রিয়ায় তার অধিকার আদায়ের চেস্টা করার কথা জানান তারা। সমঅধিকার বঞ্চিত নারীরা গোলক ধাঁধায় আটকে আছেন। কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে সমঅধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান মহিলা বিষয়ক উপ-পরিচালক। নারীর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান বজায় থাকুক আর সকল ক্ষেত্রে নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক-নারী দিবসে এমন প্রত্যাশা সবার।