টিকা কেন্দ্রে করোনার বুস্টার ডোজ নিতে আসা মানুষের সংখ্যা কম
- আপডেট সময় : ০৫:৩৭:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০২২
- / ১৫৪২ বার পড়া হয়েছে
সারাদেশে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে টিকাদান কার্যক্রম। তবে দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা মানুষের সংখ্যা কম দেখা গেছে। ৭৫ লাখ মানুষকে করোনা টিকা দেয়ার লক্ষ্যে দেশব্যাপী এ ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত টিকা কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামেও বুস্টার ডোজ ক্যাম্পেইন শুরু করেছে সরকার। চট্টগ্রাম সিটির ৪১টি ওয়ার্ড ছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগের নির্ধারিত সব টিকাকেন্দ্রে সকালে টিকাদান কর্মসুচী শুরু হয়। চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আক্তার চৌধুরী জানায়, দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের ৪ মাস পার হলেই ১৮ বছর বা তার বেশী বয়সী সবাই করোনার টিকার বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন।
রাজশাহীতে আজ সকাল নয়টা থেকে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়ে চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত। যাদের করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার সময় চার মাস পার হয়েছে, তারাই কেবল বুস্টার ডোজ পেয়েছেন। মোট ২৪৪টি কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
বরিশালে নগরীর ৮টি কেন্দ্রে ১৬টি বুথে টিকাদান কর্মসুচী চলবে। সকাল থেকে বরিশাল বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে টিকা গ্রহীতারা লাইনে দাঁড়িয়ে বুস্টার ডোজ নেয়। বরিশালের ১০ উপজেলায় ২৭৬টি কেন্দ্রের ৩০৭টি বুথে বুস্টার ডোজ দেয়া হবে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৫৭ ওয়ার্ডে ৫৭ হাজার ও জেলার পাঁচ উপজেলার ১১৫ ওয়ার্ডে ৫৭ হাজার ৫০০ বুস্টার ডোজ করোনার টিকা দেয়া হবে।
নেত্রকোনায় বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভার মোট ২৫৮টি কেন্দ্রে এই বুস্টার ডোজ দেয়া হবে। টিকাদানের লক্ষমাত্রা ১ লক্ষ ২৯ হাজার। এছাড়াও সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে ক্যাম্পিং করে বুস্টার ডোজ দেয়া হবে।
বুস্টার ডোজ নিতে সকাল থেকে চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই ভবনে আসতে শুরু করেন, টিকা গ্রহিতারা। অতিরিক্ত ভিড় না থাকায় শান্তিপূর্ণভাবেই টিকার গ্রহণ করেন তারা।
পটুয়াখালীতে সকাল নয়টায় জেলার ৯৩টি কেন্দ্রের ২৪৫টি বুথে একযোগে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিটি বুথে ২ জন করে টিকা প্রদানকারীসহ স্বেচ্ছোসেবীরা কাজ করে।
এছাড়াও- সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরেও করোনার বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে।সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে এই কর্মসূচি চলে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।
করোনা টিকার বুস্টার ডোজের জাতীয় ক্যাম্পেইনে আশানুরুপ সাড়া মেলেনি।
সকাল থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু হলেও কেন্দ্রগুলোতে উপস্থিতি ছিলো কম। একদিনে সারাদেশে ৭৫ লাখ বুস্টার ডোজ দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলে কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম। ১৮ বছরের বেশি যে কেউ দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার চার মাস পূর্ণ হলে বুস্টার ডোজ গ্রহণ করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
দেশের জনগোষ্ঠীর বড় অংশকে একদিনে করোনা টিকার আওতায় নিতে ১৯ জুলাই জাতীয় বুস্টার ডোজ ক্যাম্পেইন দিবস পালনের উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
তবে টিকা গ্রহণকারীরদের উপস্থিতি জানান দেয় বুস্টার ডোজ গ্রহণে তেমন আগ্রহী নন সাধারণ মানুষ। ক্যাম্পেইন করা হলেও তেমন সাড়া নেই বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এখনো টিকা নিয়ে নানা বিড়ম্বনা পোহাতে হয় বলে জানিয়েছেন অনেকে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বুস্টার ডোজের কার্যক্রম দেখতে যান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম। ৭৫ লাখ ডোজ টিকার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজার টিকা ব্যবহৃত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।