০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

ডিম আহরণ উৎসবের অপেক্ষায় হালদাপাড়ের বাসিন্দারা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৭:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১
  • / ১৫২৩ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অমাবশ্যার ক্ষণে হালদা নদীতে মা মাছের আনাগোনা বেড়েছে। এখন শুধু মুষলধারে বৃষ্টির অপেক্ষা। পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি ঘোলা হলেই ডিম ছাড়বে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউসসহ দেশীয় মাছ। তাই ডিম আহরণের উৎসবে নামার অপেক্ষায় আছে হালদাপাড়ের বাসিন্দারা। ইতোমধ্যে হ্যাচারীগুলো প্রস্তুত করার পাশাপাশি মাটির কুয়ো তৈরী এবং নৌকা ও জাল সংস্কার করে রেণু ফোটানোর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ডিম আহরণকারীরা।

নদীর বাঁকে বাঁকে অপেক্ষা করছেন ডিম আহরোনকারীরা। কেউ নৌকা নিয়ে ঘুরে দেখছেন মা মাছের আনাগোনা। কেউবা রেণু ফোটানো কুয়োটা যাচায় বাছাই করে দেখছেন সবকিছু ঠিক আছে কিনা। হালদাপাড়ের বাসিন্দারা এখন এভাবেই ডিম আহরণের উৎসবে মাতার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বর্ষা মৌসুমের প্রথম তিন মাসের ৬টি জো’র মধ্যে প্রথম চারটিতেই ডিম ছাড়ে মা মাছ। এবছর দুটি জো চলে গেছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ডিম ছাড়ার পরিবেশ পায়নি মাছ। গতকাল থেকে তৃতীয় জোটিও চলছে। আগামী ২৪ মে থেকে শুরু হবে শেষ জো। এর মাঝে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হলেই আসবে সেই মহেন্দ্রক্ষণ।

স্মরণকালে সবচেয়ে বেশি ডিম আহরণ হয়েছিলো ২০০৬ সালে প্রায় ৩৩ হাজার কেজি। ১৪ বছর পর গেলবার ডিম আহরিত হয় সাড়ে ২৫ হাজার কেজিরও বেশি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকা, উজানে বিষাক্ত তামাক চাষ বন্ধসহ দখল দুষনের মাত্রা কমায় এবার ডিম আহরোণে অতিতের সব রেকর্ড ভাঙ্গার প্রত্যাশা করছেন হালদা গবেষকরা।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজননক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীকে বঙ্গবন্ধু মৎস হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। তাই বছর জুড়েই হালদা রক্ষায় নানা উদ্যোগের পাশাপাশি ডিম আহরোণের মৌসুমকে ঘিরে নানামুখি পদক্ষেপ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

এবার নিশিক্ত ডিম আহরোণের জন্য ৩শ’ টি নৌকা নিয়ে অপেক্ষা করছেন অন্তত ৭ শতাধিক ডিম আহরোনকারী। আর ডিম থেকে রেনু ফোটাটে ৬ টি হ্যাচারীর একশোটি পাকা কুয়োর পাশাপাশি ১৭৭ টি মাটির তৈরী বিশেষ কুয়োও প্রস্তুত করেছেন তারা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ডিম আহরণ উৎসবের অপেক্ষায় হালদাপাড়ের বাসিন্দারা

আপডেট সময় : ০৫:৩৭:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১

অমাবশ্যার ক্ষণে হালদা নদীতে মা মাছের আনাগোনা বেড়েছে। এখন শুধু মুষলধারে বৃষ্টির অপেক্ষা। পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি ঘোলা হলেই ডিম ছাড়বে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউসসহ দেশীয় মাছ। তাই ডিম আহরণের উৎসবে নামার অপেক্ষায় আছে হালদাপাড়ের বাসিন্দারা। ইতোমধ্যে হ্যাচারীগুলো প্রস্তুত করার পাশাপাশি মাটির কুয়ো তৈরী এবং নৌকা ও জাল সংস্কার করে রেণু ফোটানোর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ডিম আহরণকারীরা।

নদীর বাঁকে বাঁকে অপেক্ষা করছেন ডিম আহরোনকারীরা। কেউ নৌকা নিয়ে ঘুরে দেখছেন মা মাছের আনাগোনা। কেউবা রেণু ফোটানো কুয়োটা যাচায় বাছাই করে দেখছেন সবকিছু ঠিক আছে কিনা। হালদাপাড়ের বাসিন্দারা এখন এভাবেই ডিম আহরণের উৎসবে মাতার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বর্ষা মৌসুমের প্রথম তিন মাসের ৬টি জো’র মধ্যে প্রথম চারটিতেই ডিম ছাড়ে মা মাছ। এবছর দুটি জো চলে গেছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ডিম ছাড়ার পরিবেশ পায়নি মাছ। গতকাল থেকে তৃতীয় জোটিও চলছে। আগামী ২৪ মে থেকে শুরু হবে শেষ জো। এর মাঝে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হলেই আসবে সেই মহেন্দ্রক্ষণ।

স্মরণকালে সবচেয়ে বেশি ডিম আহরণ হয়েছিলো ২০০৬ সালে প্রায় ৩৩ হাজার কেজি। ১৪ বছর পর গেলবার ডিম আহরিত হয় সাড়ে ২৫ হাজার কেজিরও বেশি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকা, উজানে বিষাক্ত তামাক চাষ বন্ধসহ দখল দুষনের মাত্রা কমায় এবার ডিম আহরোণে অতিতের সব রেকর্ড ভাঙ্গার প্রত্যাশা করছেন হালদা গবেষকরা।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজননক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীকে বঙ্গবন্ধু মৎস হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। তাই বছর জুড়েই হালদা রক্ষায় নানা উদ্যোগের পাশাপাশি ডিম আহরোণের মৌসুমকে ঘিরে নানামুখি পদক্ষেপ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

এবার নিশিক্ত ডিম আহরোণের জন্য ৩শ’ টি নৌকা নিয়ে অপেক্ষা করছেন অন্তত ৭ শতাধিক ডিম আহরোনকারী। আর ডিম থেকে রেনু ফোটাটে ৬ টি হ্যাচারীর একশোটি পাকা কুয়োর পাশাপাশি ১৭৭ টি মাটির তৈরী বিশেষ কুয়োও প্রস্তুত করেছেন তারা।