ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নির্মিত দুটি ওজন স্কেল এখন ব্যবসায়ীদের গলার কাঁটা
- আপডেট সময় : ১০:০১:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / ১৬৩৭ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নির্মিত দুটি ওজন স্কেল এখন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের অন্য সড়কগুলোতে ওজন স্কেল না থাকায় বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তারা। তাছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওজন স্কেলের কারণে ট্রাকভাড়া বেড়ে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খাতুনগঞ্জ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ীরা। এভাবে চলতে থাকলে দেশের অন্যতম পাইকারী বাজার চাকতাই-খাতুনগঞ্জ শতাধিক বছরের বাণিজ্য ঐতিহ্য হারাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
ট্রাকে ওভারলোড দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ সেতুগুলোর ক্ষতি ঠেকাতে ২০১৭ সাল সীতাকুণ্ডের দারোগাহাট ও কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় দুটি ওজন স্কেল স্থাপন করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ৬ চাকার গাড়িতে ১৩ টন, ১০ চাকার গাড়িতে ৩০ টন এবং ১৪ চাকার গাড়ির জন্য সর্বোচ্চ ৪০ টন ওজনসীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়।
সেতু ও মহাসড়কের ক্ষতি ঠেকাতে এ উদ্যোগ ফলপ্রসু হওয়ায় দেশের সব মহাসড়কে তা স্থাপনের সিদ্ধান্ত ছিল বলে জানান, ওজন স্কেল পরিচালনাকারী কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের সব মহাসড়কে ওজন স্কেল স্থাপনের সিদ্ধান্ত গত ৫ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাকের খরচ বেড়ে যাওয়ার এই সড়কটি এড়িয়ে বিকল্প পাইকারী বাজারে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এতে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়ায় ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন অনেকেই।
দেশে ৩০টির বেশি মহাসড়ক থাকলেও কেবল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওজন স্কেল স্থাপন করা, চট্টগ্রামের সাথে দ্বিমুখী ও বৈষম্যমূলক আচরণ বলে মনে করেন ব্যবসায়ী নেতারা।
অন্য কোথাও না হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওজন স্কেল দুটি বাতিল করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে নানা কর্মসূচি পালন করছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা। তবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সাড়া না পেয়ে হতাশ দেশের প্রধান পাইকারী বাজার- চাক্তাই-খাতুনগঞ্জসহ চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা।