নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তিন চাকার যান চলছে ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে
- আপডেট সময় : ০৮:১৫:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০২২
- / ১৫৪৮ বার পড়া হয়েছে
উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে চলছে নিষিদ্ধ ঘোষিত তিন চাকার যান। ফলে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। মহাসড়কে চলমান অরাজকতার জন্যে হাইওয়ে পুলিশকে দুষছেন অনেকে। এদিকে, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত যান দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২০১২ সালের অক্টোবরে মহাসড়কে তিন চাকার অটোরিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয় উচ্চ আদালত। কিন্তু প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় সব নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে অবৈধ যানগুলো। প্রতিনিয়তই সড়কে ঝরছে প্রাণ। বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ থেকে ২০২০ পর্যন্ত এই সড়কে থ্রি হুইলারে চড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৭০ জন। হতাহত অনেক। অন্যদিকে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২৩ জন।
উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তিন চাকার যান চলছে ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে। এ অবস্থায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার জন্য হাইওয়ে পুলিশকে দুষছেন অনেকে। যথারীতি অভিযোগ অস্বীকার করছেন হাইওয়ে পুলিশ। মহাসড়কে যেন তিন চাকার যান চলাচল করতে না পারে সে জন্য টহলসহ মামলা দেয়া হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
হবিগঞ্জে মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা বন্ধ করলেও এর কোনো তোয়াক্কাই করছে না চালকরা। শেরপুর থেকে মাধবপুর পর্যন্ত হবিগঞ্জ অংশে মহাসড়ক রয়েছে প্রায় ৮২ কিলোমিটার মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব অবৈধ যানবাহন। চালকদের অভিযোগ, হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করেই মহাসড়কে চলছে এসব সিএনজি অটোরিকশা।
মৌলভীবাজার শহরের কোথাও মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড, ট্রাক স্ট্যান্ড এবং ফোরস্ট্রোক বেবীট্যাক্সিসহ হালকা যানবাহন রাখার জন্য কোন সুনির্দিষ্ট স্থান না থাকায় শহরের পার্কিং ব্যবস্থা নাজেহাল। বিভিন্ন সড়কে যানজট লেগেই থাকে।