তদন্ত কমিটি গঠন করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে
- আপডেট সময় : ০৩:০৫:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০১৯
- / ১৫৮২ বার পড়া হয়েছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেল স্টেশনে তুর্ণা নিশীথা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক। গেল রাত পোনে ৩ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে তুর্ণার নিশীথার চালক সিগন্যাল অমান্য করে ঢুকে পড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এরইমধ্যে ৫টি আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে সিগন্যাল অমান্য করায় তূর্ণা এক্সপ্রেসের চালক-গার্ডসহ ৩ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
উদয়ন এক্সপ্রেস সিলেট থেকে চট্টগ্রাম ও তূর্ণা নিশীতা ছিল চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখে। কসবার মন্দভাগ রেল স্টেশনের কাছে ট্রেন দুটির মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি করে বগি দুমড়ে মুচড়ে যাওয়ার পাশাপাশি লাইনচ্যুত হয়।
ঘটনার পরপরই আখাউড়া থেকে দুটি রিলিফ ট্রেন দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। এছাড়া আহত ও নিহতদের উদ্ধারে নামে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ এবং স্থানীয়রা। এক পর্যায়ে সেখান থেকে ৯টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় আহত ২৮ জনকে। এরমধ্যে মারা যান দু’জন। এছাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে দুজন মারা গেছেন। কুমিল্লায় নেয়ার পথে মারা যায় একজন। ১৩ জনের মধ্যে ঢাকায় স্থানান্তর করা ১০ জনকে।
রিলিফ ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়া ট্রেন দুটি উদ্ধার করলেও এখনও সেখানে উদ্ধার কাজ চলছে।
দুর্ঘটনার কারণে ৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকা ও সিলেটের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
তুর্ণা নিশিথার চালক সিগনাল অমান্য করায় ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দাবি দুর্ঘটনায় পড়া উদয়ন এক্সপ্রেস চালকের।
এদিকে, রেলমন্ত্রীরও জানিয়েছেন, চালক সিগন্যাল অমান্য করে ভুল লাইনে চলে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে রেলওয়ের ৪টি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১টি তদন্ত কমিটি গঠন করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তূর্ণা এক্সপ্রেসের চালক, সহকারী চালক ও পরিচালককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।