তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কার্যকরী প্রয়োগ না হওয়ায় দেশে বাড়ছে ধূমপায়ীর সংখ্যা
- আপডেট সময় : ০৭:৫১:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুলাই ২০২১
- / ১৫৩১ বার পড়া হয়েছে
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কার্যকরী প্রয়োগ না হওয়ায় দেশে বাড়ছে ধূমপায়ীর সংখ্যা। ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ও ক্যান্সারের কারণ, এটি জানা সত্ত্বেও যত্রতত্র চলছে ধূমপান। পাশপাশি জনসম্মুখে ধূমপানে শাস্তির বিধান থাকলেও তার সঠিক প্রয়োগ না হওয়ায় রোধ করা যায়নি অবাধ ধূমপান। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ-তরুণীদের একটা বড় অংশ ধূমপানে আসক্ত। ক্রমশ আকৃষ্ট হচ্ছে উঠতি বয়সীরাও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তামাক আইন সংশোধনের চেয়ে বর্তমান আইন প্রয়োগের ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
২০০৫ সালে করা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটির সংশোধন করা হয় ২০১৩ সালে। আইনটি হয়ে উঠে আরো শক্তিশালী।
কিন্তু ধূমপানে বিষপান একথা সবাই জানলেও মানে না অনেকেই। জনসম্মুখে ধূমপান নিরুৎসাহিত করতে জরিমানা ও শাস্তির বিধান থাকলেও ধূমপায়ীর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলছে। আইনের কঠোর প্রয়োগ না হওয়ায় তা কার্ককর হচ্ছে না কোনোভাবেই।
গণপরিবহন, পার্ক, সরকারি-বেসরকারি অফিস, গ্রন্থাগার, রেস্তোরাঁ, শপিং মলসহ বিভিন্ন জনসমাগমস্থলে অহরহ ধুমপান করতে দেখা যায় বিভিন্ন বয়সীদের।জনসম্মুখে ধূমপান করলে ৩০০ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে- এমন আইনই জানে না অনেকেই।
ভাক্সপপ…
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, এখনো দেশের আড়াই কোটি মানুষ গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন। হাসপাতালের মতো জায়গায় পরোক্ষ ধূমপানের শিকারর হন ১৩ ভাগ মানুষ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিতরেই জনসম্মুখে ধূমপান করছেন অনেকে।
ধুমপায়ীদের স্বাস্থ্যের ঝুকি বেশি বলে জানান এই দুই বিশেষজ্ঞ। ধুমপান ও তামান নিয়ন্ত্রণ আইনের কঠোর প্রয়োগ না হওয়ায় তা কার্যকর হচ্ছে না বলে জানান, মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. অরুপ রতন চৌধুরী।
দেশে মাদকাশক্তদের ৮০ ভাগই কিশোর ও তরুণ জানিয়ে এদের রক্ষায় আইনের কঠোর প্রয়োগের দাবি জানান বিশেষজ্ঞরা।