তিন কারণে চীনের ওপর চটেছে ভারত
- আপডেট সময় : ০৩:১৪:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জুন ২০২০
- / ১৫৪৩ বার পড়া হয়েছে
তিন কারণে চীনের ওপর চটেছে ভারত। যদিও সীমান্তবিরোধ নিয়ে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছেন না। তবে এই রেষারেষি শেষ পর্যন্ত কোনদিকে মোড় নিতে পারে তা নিয়ে আলোচনা বিশ্ব মিডিয়ার সাথে বাংলাদেশের বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায় ভারত। যদিও বাণিজ্যক সম্পর্কসহ নানা কৌশলগত কারণে এখনই যুদ্ধে জড়ানোর মতো সিদ্ধান্ত নিতে আগ্রহী নয় চীন। দু’দেশের মধ্য শান্তি প্রতিষ্ঠায় মধ্যস্থতা করতে পারে বাংলাদেশ- এমন কথাও বলছেন অনেকে।
১৯৭৫ সালের পর এই প্রথম ভারত-চীনের মধ্যে সামরিক পর্যায়ে প্রাণহানি হওয়ার মতো ঘটনা ঘটলো লাদাখ সীমান্তে। কয়েক যুগ ধরে জিইয়ে থাকা দু’দেশের সীমান্ত বিরোধের শেষ পরিণত কোনদিকে…? এমন প্রশ্নের উত্তরই এখন খুঁজছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। কারো মতে, দক্ষিণ এশিয়ার প্রভাবশালী দেশ হিসেবে জানান দিতেই ভারত ও চীনের মধ্যে চলছে লড়াই। তবে করোনা মোকাবেলায় ব্যর্থতা দায় ঢাকতেই এই সময়ে ভারতের উগ্র জাতীয়তাবাদীরা সীমান্ত বিরোধের মতো ঘটনাকে সামনে আনছে বলেও মনে করেন এই বিশ্লেষক।
তবে গেল দশ বছর ধরেই কূটনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী। এছাড়াও, ভৌগলিকগত অবস্থান ও ভূ-রাজনীতির কারণে চীন এবং ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সাথে এ দু’দেশের বাণিজ্যিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় শক্তিশালী। কাজেই এ অর্জন হারাতে চায় না কোনো রাষ্ট্রই-এমনটিও বলছেন অনেকেই।
লাদাখ সীমান্ত নিয়ে বিরোধ দুই রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও শান্তি প্রতিষ্ঠায় বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ উত্তেজনা প্রশমনে দূতিয়ালির ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে বলেও মনে করেন অধ্যাপক তারেক শামসুর রেহমান। এদিকে, বৃহস্পতিবার নৌবাহিনীর এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন- যুদ্ধ নয়, শান্তিতে বিশ্বাসী বাংলাদেশ। তবে অন্যায়ভাবে হামলা হলে উপযুক্ত জবাব দেয়ারও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তিনি।