তিস্তার ভাঙনে নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে ফসলী জমি, বসতভিটাসহ বহু স্থাপনা
- আপডেট সময় : ০৩:৪৯:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১৭৯৩ বার পড়া হয়েছে
এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিস্তার ভাঙনে নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে ফসলী জমি,ও বসতভিটাসহ বহু স্থাপনা। প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা ভেঙে হুমকির মুখে এখন নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধও। এমন পরিস্থিতিতে দিশেহারা নীলফামারী জলঢাকার হলদীবাড়ি গ্রামের মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই তিস্তা খননের প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে পানি বন্টন চুক্তি সই এবং নিজস্ব অর্থে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবী জানিয়েছে তিস্তা বাঁচাও- নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ।
চলতি বছর ২১ জুন থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত উজানের ঢলে নীলফামারীতে ৮ বার বিপৎসীমা অতিক্রম করে তিস্তার পানি। এর পরই দেখা দেয় ভাঙন। গেল এক সপ্তাহে বিলিন হয়েছে গোলমুন্ডা ইউনিয়নসহ কয়েকটি গ্রাম।
স্থানীয়দের দাবি, নদীর বুকে অসংখ্য চর বাধাগ্রস্ত করছে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ। বর্ষা মৌসুমে উজানে ঢলেই গতিপথ বদলে নদীগর্ভে বিলীন হয় ফসলি জমি ও বসতভিটা।
বাঁধের ভাঙা অংশে তাৎক্ষনিক বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলায় রক্ষা পেয়েছেন ওই গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে তিস্তা পানিবন্টন চুক্তি সই এবং নিজস্ব অর্থে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে রংপুর তিস্তা বাঁচাও- নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণে রক্ষা পেয়েছে নদীর ৩৬ কিলোমিটার ডান তীর রক্ষা বাধ,বাড়িঘরসহ কয়েক হাজার একর ফসলী জমি।
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত নদীরগতি পথ ঠিক রাখতে ইতোমধ্যে উজান অংশ খনন প্রকল্প নেয়া হয়েছে বলে জানান পাউবোর প্রধান প্রকৌশলী। প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফরেও পানিবন্টন চুক্তির বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখছেন তিস্তা পাড়ের মানুষ।