তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে
- আপডেট সময় : ০৬:৩৬:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০২৩
- / ১৭২৫ বার পড়া হয়েছে
টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু জায়গায়। বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র খাবার সংকট। এদিকে, পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে গত কয়েকদিন ধরে বাড়তে শুরু করেছে যমুনা নদীর পানি।
ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও প্লাবিত হয়েছে কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল। পানি বন্দী অন্তত ৬০ হাজার মানুষ। ঘরবাড়ি ও নিচু এলাকার কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে দুর্ভোগ বেড়েছে স্থানীয়দের। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, কুড়িগ্রামের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পর বর্তমানে কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও এখনো দুধকুমার ও ধরলার পানি বিৎদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় অপরিবর্তিত লালমনিরহাটের বন্যা পরিস্থিতি। জেলার হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী। বন্যা কবলিত এলাকায় প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৭ লাখ টাকা বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন।
নীলফামারীতে এখনও বিপৎসীমার ওপরে তিস্তর পানি। জেলার ডিমলা উপজেলার ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ডুবেছে ঘরবাড়ি। পানিবন্দী হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তবে শনিবার দুপুর থেকে পানি কমতে শুরু করেছে।
এদিকে, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে গত কয়েকদিনে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুর পয়েন্টে দ্রুতগতিতে বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে অভ্যন্তরীণ করতোয়া, ফুলজোড় ও বড়াল নদীর পানি। প্লাবিত হচ্ছে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল। জেলা প্রশাসক জানান, বন্যার্তদের জন্য ইতোমধ্যেই ৬৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শাহজাদপুরে ভাঙন কবলিত এলাকায় বিতরণ করা হয়েছে ১০ মেট্রিক টন চাল।