তিস্তা চুক্তি না হওয়ায় ৩৩ বছরে হতাশ ভাটি অঞ্চলের মানুষ
- আপডেট সময় : ০১:৩৭:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৬৫৬ বার পড়া হয়েছে
যে তিস্তা একসময় ছিলো আর্শীবাদ- সেই বহমান নদী এখন অভিশাপ। ভারতের সাথে ৩৩ বছরেও এই নদীর পানি বন্টনের চুক্তি না থাকায় ধীরে ধীরে মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশের এই ভাটি অঞ্চল। বিরূপ প্রভাব পড়ছে তিস্তা পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রায়। হুমকির মুখে জীববৈচিত্র এবং পরিবেশ। প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরে দ্রুত তিস্তা চুক্তির বিষয়ে সমঝোতা হবে বলে আশা তিস্তাপাড়ের মানুষের।
বাংলাদেশের সীমান্ত নদী তিস্তা। ৩৩৫ কিলোমিটারর দৈর্ঘ্যের নদীটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি দিয়ে নীলফামারীর ডিমলা হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ১১৫ কিলোমিটার বহমান এই নদী বয়ে গেছে লালমনির হাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর হয়ে গাইবান্ধা জেলা পর্যন্ত।
১৯৮৩ সালে দুই বছরের জন্য অন্তর্বতীকালীন চুক্তিও হয় বাংলাদেশের। ১৯৮৭ সালে আরো দু’বছর বাড়ানো হয়েছিল সেই চুক্তির মেয়াদ। এরপর আর কোনো চুক্তি নবায়ন হয়নি। নদীর উজানে ১৯৯৮ সালের গজলডোবা ব্যারাজ নির্মাণ করে গত দুই যুগ ধরে একতরফাভাবে নিজেদের সুবিধামতো পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে ভারত। অন্যদিকে, শুষ্ক মৌসুমে পানি না দেয়া আর বর্ষায় উজানের পানি ছেড়ে দিলে বিপর্যয় ঘটে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে।
এই তিস্তাকে ঘিরে পাড়ের মানুষ জীবিকা নির্বাহ করতো। মিলতো চিতল, বোয়াল, রুই, বইড়ালীসহ নানা প্রজাতির মাছ এমনকি বিভিন্ন জাতের জলজপ্রাণীও। পানির অভাবে বিলুপ্ত প্রায় মাছসহ জলজপ্রাণীও। ফলে অনেকেই নিজেদের আদি পেশা হারিয়ে বেকার। হুমকির মুখে পড়েছে চাষাবাদসহ তিস্তা নদী কেন্দ্রীক জীবনযাত্রা।
এ অঞ্চলের কর্মচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনতে তিস্তাচুক্তি জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।